একাত্তর সালে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকার জন্য দলকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন দলটির সদ্য পদত্যাগকারী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। তার এই ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শকে স্বাগত জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। মঙ্গলবার ( ১৯ ফেব্রুয়ারি) ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ের আলোচনাকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, ‘এই বিষয়টিকে আমি স্বাগত জানাই।’ তবে এর বাইরে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। গণশুনানিতে জামায়াতে প্রার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। এসময় তার পাশে বসা ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সব প্রার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর মধ্যে আপনাদের প্রশ্ন থাকলে আমার কিছু বলার নেই। আর এ বিষয়ে কামাল হোসেনও কিছু বলবেন না। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা জানতে চাইলে রব বলেন, এই বিষয়ে আমরা চিন্তা করছি।
কামাল হোসেন বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি গণশুনানির তারিখ বাতিল করা হয়েছে। আমরা ২২ ফেব্রুয়ারি গণশুনানি করবো। সকাল ১০ টা বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের মিলনায়তনে এই গণশুনানি হবে। তারিখ পরিবর্তনের কারণ জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, আমরা কোথাও জায়গা পাচ্ছিলাম না। আইনজীবী সমিতির মিলনায়তন ২২ তারিখে জায়গা পেয়েছি। এই কারণে তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। গণশুনানি থেকে কী অর্জন হবে জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, ‘সংবিধানে লেখা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। সেই দিন জনগণ জানতে পারবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে কী ঘটেছিল। প্রার্থীরা তাদের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরবেন।’
এসময় আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘গণশুনানিতে ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল এবং বাম ও গণতান্ত্রিক যেসব দল অংশগ্রহণ করেছে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. আবদুল মইন খান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, হাবিবুর রহমান তালুকদার, মোস্তফা মহসিন মন্টু, শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।