ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাষ্ট্রের সব সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। একইসঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও বন্যা মোকাবিলায় চার দফা দাবি পেশ করেছে দলটি । বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর হাতিরপুলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
লিখিতভাবে দেওয়া বাকি দাবিগুলো হচ্ছে, বানভাসি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা এবং বন্যা পরবর্তী রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে ও বন্যার্তদের পুনর্বাসনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরীর পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করা এবং ফেব্রুয়ারি থেকে এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংস করা। রোগ হলে কোন পর্যায়ে কী করতে হবে, সামাজিকভাবে এটাকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়ে তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার করার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রেসক্লাবে আন্দোলনরত পৌরসভা কর্মীদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে তাদের জেলায় জেলায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজের জন্য ফেরত পাঠানো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার সরকারের সার্বিক গাফিলতি ও দুর্নীতির ফল। ডেঙ্গু এ বছর বাড়বে, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরেরই এর পূর্বাভাষ ছিল। ফলে আগেভাগেই ব্যবস্থা না নেওয়াটা বিশাল দায়িত্বহীনতার পরিচয়। ’
সাকি অভিযোগ করেন, ‘কীটনাশক ও ওষুধ ক্রয়ে দুর্নীতি ঘটেছে। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যাওয়ার পরই, অনেক প্রাণহানি ও জনবিক্ষোভের পর সরকারের টনক নড়েছে। আমরা দেখেছি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশবাসীকে এমন দুর্যোগের ভেতরে রেখে সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণ করছেন।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘সারাদেশে যে পৌরসভার কর্মীরা মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করবেন, তারা গত ১৯ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাদের ন্যায্য পেশাগত দাবিতে অবস্থান করছেন। তাদের দাবি নিয়ে কোনও সাড়া না দিয়ে সরকার কার্যত গোটা দেশে এডিস মশার বিস্তারের বন্দোবস্ত করছে। ’
তিনি অবিলম্বে পৌরসভার কর্মীদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে তাদেরকে মশক দমনে নিয়োগ করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, মনির উদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপক রায় ও কেন্দ্রীয় সংগঠক বেলায়েত শিকদারসহ অনেকে।