জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভিসি বোরকা পরে পালাবেন মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘এখন যারা ক্ষমতায় আছেন তারা সব বলে বেড়াচ্ছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান করছেন। তাহলে শুদ্ধি অভিযানের শুরুতে তো জাবির ভিসির চাকরি যাওয়া উচিত। তাহলে যাচ্ছে না কেন? গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এমন আন্দোলন করলো যে, সেখানকার ভিসিকে রাতের আঁধারে পালিয়ে যেতে হয়েছে। তারও চাকরি যায়নি। অপেক্ষা করেন, জাবির এই ভিসিকে রাতের অন্ধকারে বোরকা পরে পালিয়ে যেতে হবে। সেদিন বেশি দূরে নয়।’
বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ছাত্র ঐক্য আয়োজিত ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলা’র প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা।
দুই-একজন বাদে অধিকাংশ ভিসিরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা লুটপাট করার কাজে ব্যস্ত আছেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা নাম করা তারা টেন্ডারবাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির গুন্ডা কারা, তাকে রক্ষা করতে যায় কে? যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের গুন্ডারা।’
মান্না বলেন, ‘আপনারা জানেন দীর্ঘদিন ধরে জাবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। তাদের যে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে তারা জানতে চাই। কারণ উন্নয়ন প্রকল্প যথাযথ নয়, উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে না। এখানে লুটপাট চলছে। তাদের জিজ্ঞাসা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও জবাব দেননি। সবশেষে গতকালকে (মঙ্গলবার) যে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমরা আপনারা দেখেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থান মানে কী সেটা জাবির ভিসি জানেন না। অভ্যুত্থান উনি দেখেন নাই। সেটার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনতার অভ্যুত্থানকে নিয়ে অপমান করেছেন। কয়েকজন গুন্ডা গিয়ে অন্তত ৪ জন শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে। ছাত্রদের আহত করেছে। তারপরে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যদি বলেন, এটা ছাত্রদের অভ্যুত্থান। তাহলে এর চেয়ে লজ্জার কোনও ব্যাপার থাকে না।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মীজানুর রহমানের কথা উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেছেন তিনি নাকি যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে চান। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কীভাবে যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে চায়? কী মধু আছে যুবলীগের চেয়ারম্যান পদে।’
মানববন্ধনে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।