আগামী ১৯ মার্চ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কাউন্সিলে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে লন্ডনে অবস্থানরত দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরাসরি প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে দলটির যুক্তরাজ্য শাখার মিডিয়া উইং। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইতিপূর্বে তারেক রহমানের ভিডিওবার্তা রেকর্ড করে বাংলাদেশে প্রচার করা হয়েছিল কিন্তু এবার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে কাউন্সিল চলাকালে লন্ডন থেকে স্কাইপ-এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেলের দলীয় কার্যালয় থেকে এই বক্তব্য প্রচারের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
তবে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী বলছেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের প্রস্তুতি হলে এটি হবে আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে তিনি পলাতক আসামি, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একাধিক মামলা বিচারাধীন, আইন সবার জন্যই সমান। আইনের দৃষ্টিতে কোনও পলাতক কিংবা ফেরারি আসামির বক্তব্য প্রচার করা যায় না। বাংলাদেশের যেকোনও পাবলিক প্লেসে বা গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিউব বা অনলাইনে বক্তব্য প্রচার হলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেন, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে অহেতুক বাধা সৃষ্টি করতে চায়। একজন রাজনৈতিক নেতার কাছে থেকে যদি ফ্রিডম অব স্পিচের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে এর চেয়ে জঘন্য নজির আর দ্বিতীয়টি হতে পারে না। বর্তমানে বাংলাদেশে নাগরিকদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার কতটুকু সীমাবদ্ধ সরকারের এমন আচরণ থেকে সেটা স্পষ্ট। যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, কাউন্সিল উপলক্ষে যুক্তরাজ্য থেকে একাধিক ব্রিটিশ এমপি ও মানবাধিকার কর্মী বাংলাদেশে বিএনপির কাউন্সিলে অংশ নিতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সরকারের বাধার কারণে তারা যেতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে লন্ডন হাই-কমিশনের মিনিস্টার কন্স্যুলার টিএম জুবায়ের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকারের তরফ থেকে কোনও এমপিকে বিএনপির কাউন্সিলে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার কোনও নির্দেশনা নেই। হাই-কমিশন সূত্র জানিয়েছে, গত ১১ মার্চ পর্যন্ত বিএনপির কাউন্সিলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে লন্ডন থেকে কোনও ব্রিটিশ এমপি ভিসা আবেদন করেননি। ভিসা প্রদান একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, আবেদনকারীর প্রয়োজনীয়তা ও মেরিট বিবেচনা করে ভিসা প্রদান করা হয়। ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে হাই-কমিশন কখনো রাজনৈতিক বিষয় বিবেচনায় আনে না।
/এএইচ/