দুই ম্যাচ আগেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ২৩তম শিরোপা নিশ্চিত করেছে আবাহনী। আজ শেষ ম্যাচ ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার। এদিন শাইনপুকুরকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। এনামুল হক বিজয়ের ছক্কা মিড উইকেটের ওপর দিয়ে আছড়ে পড়তেই গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস। ঢাকঢোলের বাজনায় ক্রিকেটরাদের বরণ করে নিলেন আবাহনীর সমর্থকরা। ম্যাচ শেষে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমের একপাশে দাঁড়িয়ে ছোট একটি মিটিংও সেরে ফেললেন।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৩৪ রান করে শাইনপুকুর। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৬.১ ওভারে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে আবাহনী। শুরুতে আবাহনী দুই ওপেনারকে হারায়। তৃতীয় উইকেটে মাঝহারুল ইসলাম সাগরকে নিয়ে বিজয় প্রতিরোধ গড়েন। ২৩ রানে সাগরের আউটে ভাঙে ৬৫ রানের জুটি।
একপ্রান্তে আগলে বিজয়ের সঙ্গী হন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। দুজনে এগোচ্ছিলেন ভালোভাবে। ২৯ রানে মোসাদ্দেকের বিদায়ে ভাঙে তাদের ৫০ রানের জুটি। এরপর আরও উইকেট হারালেও বিজয় একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ৬ উইকেট হারিয় জয়ের বন্দরে পৌছে যায় আবাহনী। বিজয় ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ১২০ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায়। সেঞ্চুরির দেখা পান ১১৪ বলে। এছাড়া জারিফ রহমান ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
শাইনপুকুরের বোলারদের মধ্যে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, ইলিয়াস সানি ও নাঈম আহমেদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছিল শাইনপুকুর। অমিত হাসান ওখালিদ হাসানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ২৩৫ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। অধিনায়ক অমিত সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন। ১১৬ বলে ৫টি চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। ৫৮ বলে ৫৮ রান করেন খালিদ। তার ইনিংসে চার ছিল ৮টি আর ছয় ১টি। এছাড়া ইরফান শুক্কুর ৪৩ বলে ৩৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন।
আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রাকিবুল হাসান। ২টি করে উইকেট নেন আব্দুল রওশান-মোসাদ্দেক।