আগামী সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভারতের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সবগুলো ম্যাচেই ছিল একই পরিণতি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় পঞ্চম ম্যাচেও জয়ের খোঁজ পেলো না নিগার সুলতানার দল। ভারতের দেওয়া ১৫৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ দল থেমেছে ১৩৬ রানে। ফলে ২১ রানের হারে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে স্বাগতিক দল।
শেষ ম্যাচটিতে জয়ের খোঁজে মরিয়া বাংলাদেশ একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে। মুর্শিদা খাতুন, মারুফা আক্তার ও হাবিবা ইসলাম পিংকি বাদ পড়েছেন। গত ম্যাচে হাবিবার অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের জার্সিতে। একাদেশে এসেছেন সোবহানা মোস্তারি, সুলতানা খাতুন ও ফারিহা তৃষ্ণা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে বড় সংগ্রহই পায় সফরকারী দল। বাংলাদেশকে ১৫৭ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিংয়ে প্রমোশন পেয়েও সোবহানা মোস্তারি ভালো করতে পারেননি। ৯ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ব্যাটার। আরেক ওপেনার দিলারা আক্তারও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। আউট হয়েছেন ৪ রানে। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও রুবাইয়া হায়দার প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন। ২১ রানের জুটি হতেই আউট হন অধিনায়ক জ্যোতি (৭)। স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতে আউট হন রুবাইয়া ও স্বর্ণা আক্তার। রুবাইয়া ২১ বলে ২০ রানের ইনিংস খেললেও স্বর্ণা আউট হয়েছেন এক রানে।
৬ষ্ঠ উইকেটে রিতু মনি ও শরিফা আক্তারের ব্যাটে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। যদিও আস্কিং রান রেটের সঙ্গে বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের রান তোলার গতিতে ছিল বিস্তর পার্থক্য। রিতু মনি ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শরিফা ২১ বলে ২৮ এবং রাবেয়া খান ১৮ বলে ২১ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। শেষ দিকে ব্যাটারদের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৩৬ রানে।
ভারতের বোলারদের মধ্যে রাধা যাদব সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আশা সোবাহানা ও তিতাস সাধু একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি ভারতকে। দেওয়ালান হেমালতা ৩৭, স্মৃতি মান্ধানা ৩৩, হারমানপ্রীত কৌর ৩০ এবং রিচা ঘোষের অপরাজিত ২৮ রানের ওপর দাঁড়িয়ে ভারত ১৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রাবেয়া খান ও নাহিদা আক্তার প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নেন সুলতানা খাতুন।