আগামী ৩ জুন কার্ডিফে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। রিয়াল মাদ্রিদের সামনে ১২তম শিরোপার হাতছানি। কিন্তু জুভেন্টাসের সঙ্গে এ ম্যাচে আরও কিছু প্রতিবন্ধকতা পার হতে হবে তাদের।
ঐতিহাসিক ডাবল
প্রথম দল হিসেবে রিয়াল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। কিন্তু চারটি দল এমন কীর্তির খুব কাছে গিয়েও ফিরে এসেছিল।
১৯৯৪ সালের ফাইনালে এসি মিলান ৪-০ গোলে হারায় বার্সেলোনাকে। পরের বছর শিরোপার লড়াইয়ে তাদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতে আয়াক্স। আবার ডাচ দলটি ১৯৯৬ সালের ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা হারায় জুভেন্টাসের কাছে। আগের তিন চ্যাম্পিয়ন দলের মতো টানা দ্বিতীয় ফাইনাল খেলেছিল জুভেন্টাসও। কিন্তু ইতালিয়ান জায়ান্টরা ১৯৯৭ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে হেরে শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। এর পরের ঘটনা ২০০৮ সালের। চেলসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু ২০০৯ সালের ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে হেরে যায় তারা।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ চালু হয়েছে ২০০০ সাল থেকে। তখন থেকেই এ প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা কখনও একই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি হাতে নিতে পারেনি।
শত্রু যখন সাবেকরা
প্রতিপক্ষ যখন সাবেক ক্লাব, তখন বাড়তি সুবিধা পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। সেক্ষেত্রে কার্ডিফ ফাইনালে এগিয়ে থাকবে জুভেন্টাস। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক দুই তারকা গনসালো হিগুয়েইন ও সামি খেদিরাকে নিয়ে জিততে মুখিয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য জিনেদিন জিদান পাচ্ছেন জুভেন্টাসের সাবেক ফরোয়ার্ড আলভারো মোরাতাকে।
বেজোড় বছর
এ শতাব্দীতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল। কিন্তু সবগুলোই জোড় (২০০০, ২০০২, ২০১৪ ও ২০১৬) বছরে। এবার তাদের সামনে ২০১৭ সাল। বেজোড় বছরে তারা শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেই ১৯৫৯ সালে।
ইতালিয়ান প্রতিপক্ষ
ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এবার চ্যাম্পিয়ন হবে জুভেন্টাস। কারণ প্রতি ৭ বছরে একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কোনও ইতালিয়ান ক্লাব। ২০১০ সালে শেষবার শিরোপা হাতে নিয়েছিল ইতালির জায়ান্ট ইন্টার মিলান, ২০০৩ সালে এসি মিলান এবং ১৯৯৬ সালে জুভেন্টাস।
বেগুনী রঙয়ের জার্সি
কার্ডিফে অ্যাওয়ে দল হিসেবে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ, তাদের গায়ে থাকবে বেগুনী রঙয়ের জার্সি। আর এ মৌসুমে তারা এ পোশাকে হেরেছে দুইবার।
/এফএইচএম/