ম্যাচটা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। দিনভর বৃষ্টিতে টার্ফে পানি জমে যাওয়ার কারণেই সংশয়। বৃষ্টি থামলে বল মাঠে গড়ায় নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর। তবে যে আশা নিয়ে জাপানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ, তা পূরণ হয়নি। এশিয়া কাপের পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ৪-০ গোলে হার মেনেছে লাল-সবুজের দল।
গ্রুপ পর্বে জাপানের বিপক্ষে লড়াই করে শেষ দুই মিনিটে দুই গোল খেলেও শুক্রবার তেমন লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই ষষ্ঠ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। অথচ ম্যাচ শুরুর আগে স্বাগতিকদের কোচ মাহবুব হারুন লড়াই করার আভাস দিয়েছিলেন। তার শিষ্যরা মাঠে নেমেছিলেন চীনকে হারানোর অনুপ্রেরণা নিয়ে। অবশ্য এশিয়ার সেরা টুর্নামেন্টে ‘উন্নতি’র সান্ত্বনা পাচ্ছেন জিমি-চয়নরা। ১৯৮২ সালে পঞ্চম, ১৯৮৫ সালে ষষ্ঠ, ১৯৮৯ সালে সপ্তম, ১৯৯৩ সালে ষষ্ঠ, ১৯৯৯ সালে ষষ্ঠ, ২০০৩ সালে অষ্টম, ২০০৭ সালে সপ্তম এবং ২০১৩ সালে সপ্তম হয়েছিল বাংলাদেশ। ১৮ বছর পর আবার ষষ্ঠ, এটাই বা কম কী!
বিশ্ব হকি র্যাংকিংয়ে জাপানের অবস্থান ১৭তম, আর বাংলাদেশের ৩৪তম। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে দুই দলের লড়াইয়ে র্যাংকিংয়ের ব্যবধানই যেন ফুটে উঠেছে স্পষ্টভাবে।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই আবার শুরু হয় বৃষ্টি। প্রথম কোয়ার্টারে বাংলাদেশ কিছুটা লড়াই করলেও পরের তিন কোয়ার্টারে জাপান একচেটিয়া খেলে চার গোল বের করে নিয়েছে।
৭ মিনিটে জাপান প্রথম পেনাল্টি কর্নার পায়। ইয়ামাদা সোতার হিট গোলকিপার আবু সাইদ নিপ্পন পা দিয়ে রুখে দেন। ১৭ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে ইয়ামাদা সোতার প্রথম হিট লক্ষ্যভেদ হয়নি, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তারই নেওয়া গড়ানো হিট পোস্ট খুঁজে নেয়। ২৮ মিনিটে বিপদ সীমানায় ইয়ামাসাকি কোজি হিট নিতে ব্যর্থ হন। ৩১ মিনিটে তানাকা একাই শুটিং সার্কেলে ঢুকে হিট নিয়েছিলেন, তবে ফিনিশিং দিতে পারেননি। ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে তানিমিৎসুর হিট গোলকিপার নিপ্পন রুখে দেন।
চতুর্থ কোয়ার্টারে জাপান তিন গোল করে। ৪৬ মিনিটে বাংলাদেশ ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে। তানাকা কেন্তার পাসে কিতাজাতো কেনজি কানেক্ট করেন। গোলকিপার এগিয়ে এলেও রুখতে পারেননি। ৪৯ মিনিটে মুরাতা কাজুমা বাই লাইন থেকে একক প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত হিটে ৩-০ করেন। ৫২ মিনিটে গোলকিপার এগিয়ে এলেও গোল বাঁচাতে পারেননি। তানাকা সেরেনের ফাঁকায় গোল করতে সমস্যা হয়নি (৪-০)।
ম্যাচের শেষের দিকে বাংলাদেশে একমাত্র পেনাল্টি কর্নার পায়। কিন্তু মামুনুর রহমান চয়ন পোস্টের ওপর দিয়ে মেরে নষ্ট করেন সুযোগটা।
দিনের অন্য ম্যাচে ওমানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সপ্তম স্থান নিশ্চিত করেছে চীন।