X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য শেষ ওয়ানডেতে জয় দরকার

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু
২১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:০৪আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২১

টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য শেষ ওয়ানডেতে জয় দরকার বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে যখন কোনও বিদেশি দল আসে, সেই দলগুলো বড় একটা সুবিধা পায়। কারণ সচরাচর তিন ফরম্যাটের সব ম্যাচই তাদের খেলতে হয় দুটি স্টেডিয়ামে। এতে পিচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, পরিচিত অনুশীলনের পিচ ও ড্রেসিংরুম বারবার প্যাকআপ করে হোটেল বদলের কোনও ঝামেলায় পড়তে হয় না তাদের। মনোযোগটা ক্রিকেটের ওপর দেওয়ার বাড়তি সুযোগ ও সময় পায় তারা।

বিপরীতে র‌্যাংকিংয়ের উপরের দিকে উঠে আসার লক্ষ্যে ধাবিত বাংলাদেশ দলের জন্য প্রতিটি ম্যাচ ভিন্ন শহরের ভিন্ন মাঠে খেলাটা একটু চ্যালেঞ্জিং। যদিও প্রতি ম্যাচে নতুন পিচ পরখ করে ব্যাট করা এবং পাহাড় বা সমুদ্রের পাড়ে কিংবা গ্যালারির কংক্রিটের চৌহদ্দিতে আবদ্ধ না থাকায় বোলারদের ক্রস উইন্ড বা উইথ দ্য উইন্ডে বল করার চমৎকার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হয়েছে এই ধরনের ভেন্যুতে খেলে। শুধু খেলার ফলাফল এবং মাঠে বেশিরভাগ খেলোয়াড়দের সময়টা মোটেও ভালো কাটছে না।

এখন পর্যন্ত চারটি মাঠের পিচ থেকে বাংলাদেশ প্রত্যাশার আকাশ স্পর্শ করতে পারবে না জানা থাকলেও ব্যবধানটা যে এত বেশি হবে, সেটা ভাবিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড সহানুভূতির সঙ্গে যে ভালো আচরণটি করেছে আমাদের সঙ্গে, তা এক অর্থে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার যে সব পিচ দ্রুততম এবং বাউন্সি, তেমন উল্লেখযোগ্য ভেন্যুতে আমাদের খেলা রাখেনি। বাংলাদেশ দলের সামর্থ্য সম্পর্কে তাদের ভাবনা আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের চেয়েও স্পষ্ট।

প্রোটিয়াদের আমাদের চেয়ে অনেক স্পোর্টিং মনে হচ্ছে। ক্রিকেট বাণিজ্যকে অন্যদিকে রেখে প্রথম টেস্টে নিজেদের অর্ধেক শক্তির বোলিং আক্রমণ নিয়ে পচেফস্ট্রুমে যে পিচ তারা তৈরি করেছিল, তা ছিল আমাদের দেশের চমৎকার ব্যাটিং উপযোগী পিচের মতো। তারা চেয়েছিল প্রথম টেস্ট থেকেই দলটি যেন ব্যাটিং আস্থার সংকটে না পড়ে। প্রথম টেস্ট শেষে পরের ম্যাচগুলোতেও আমরা তা কাজে লাগাতে পরিনি। ২২ গজের পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবলীল বিচরণ ও আমাদের অস্থিরতা ব্যবধানটা ফুটিয়ে তুলেছে। আমাদের সঠিক প্রস্তুতি পরিকল্পনার ঘাটতি নিশ্চয়ই এই ব্যবধানটুকু আরও কমাতে পারতো, তা এখন শুধু আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে পরবর্তী সফরকে অর্থবহ করতে।

একদিনের সিরিজ যে ব্যবধানে হেরেছি, এর চেয়ে আর মন্দ কী-ই বা হতে পারে, এটা না ভেবে চাপমুক্ত মনোভাবে নিজেদের উজ্জীবিত করে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অধিনায়ক মাশরাফির জন্য শেষ ম্যাচটায় অন্তত একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলুক খেলোয়াড়রা। নিকট ভবিষ্যতে দক্ষিণ আফ্রিকাতে কোনও সফর না থাকায় মাশরাফির কাছ থেকেও মনে রাখার মতো একটা পারফরম্যান্স দেশ আশা করছে।

দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ তিন ওভারে রুবেল ও তাসকিন চমৎকার ইয়র্কার সহ যে বোলিং করেছেন, তেমন ওভারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এই সিরিজে অনেক কম ক্যাচ উঠছে, অথচ আনুপাতিকভাবে ক্যাচ পড়েছে মাত্রাতিরিক্ত এবং রান আউটের সুযোগও সমানতালে মিস হয়েছে।

তামিমকে বড় প্রয়োজন ছিল। ইনজুরি প্রতিটি ম্যাচেই একাদশ নির্বাচন ও ব্যাটিং অর্ডারে প্রভাব ফেলেছে। এই সিরিজে আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক ‘দয়ালু’ ছিলেন! পরের ব্যাটসম্যানদের বেশিক্ষণ প্যাড পরিয়ে বসিয়ে রাখেননি। তারা যদি দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও ব্যাটসম্যানদের মতো শেষ ওয়ানডেতে ‘স্বার্থপর’ হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে ম্যাচে জিততে না পারলেও একটা অর্থবহ প্রেরণার জায়গা তৈরি হতে পারে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে।

/কেআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া
বিএনপি গণতন্ত্রে অকার্যকর ডামি রাজনৈতিক দল: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি গণতন্ত্রে অকার্যকর ডামি রাজনৈতিক দল: ওবায়দুল কাদের
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী