কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে বিপিএলের প্রথম দেখায় হারের শোধ নিতে পারলো না চিটাগং ভাইকিংস। মঙ্গলবারও দাপটের সঙ্গে তাদের হারালো সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। চিটাগংয়ের বিপক্ষে এবারের জয় ৬ উইকেটে। এই জয়ে চার ম্যাচে তৃতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট কুমিল্লার, তারা উঠে গেছে দুই নম্বরে। সমান পয়েন্টে শীর্ষে ঢাকা ডায়নামাইটস। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা সিলেট সিক্সার্স একই পয়েন্ট পেয়ে তিনে।
কুমিল্লার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৩৯ রান করে মিসবাহ উল হকের দল। জবাবে ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা করে ১৪০ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথে ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া তামিম ইকবাল এদিন প্রথম বিপিএল ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। তবে কুমিল্লার অধিনায়কত্ব ছিল মোহাম্মদ নবীর হাতেই। টস জিতে ফিল্ডিং নেন আফগান অধিনায়ক। কুমিল্লার বোলাররা এদিন উইকেট নেওয়ায় খুব একটা সফল না হলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। চিটাগংয়ের দুই ওপেনার লুক রনকি ও সৌম্য সরকার কেবল ছিলেন উজ্জ্বল। ১৯ বলে ইনিংস সেরা ৩১ রান করেন রনকি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তাকে ফিরিয়ে ভাঙেন ৪৬ রানের জুটি।
সৌম্য আউট হন ৩২ বলে ৩০ রান করে। মোহাম্মদ নবীর শিকার হন চিটাগং ওপেনার। মিসবাহ ও ক্রিস জর্ডান দুজনে সমান ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। সাইফউদ্দিন ও নবীর মতো সমান একটি করে উইকেট পান রশীদ খান ও ডোয়াইন ব্রাভো।
কুমিল্লার উদ্বোধনী জুটিতে এদিন লিটন দাসের সঙ্গে নেমেছিলেন তামিম। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরার আগেই দিলশান মুনাবিরার বলে শুভাশিষ রায়কে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। মাত্র ১০ বলে ৪ রান করেন তিনি। লিটন ২০ বলে ২১ রান করে শ্রীলঙ্কান পেসারের দ্বিতীয় শিকার হন।
৩৯ রানে ২ উইকেট হারালেও কুমিল্লার সমস্যা হয়নি জয় পেতে। সেই পথ তৈরি করে দেন ইমরুল কায়েস ও জশ বাটলার। ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। অবশ্য দুজনই মাঠ ছেড়েছেন হাফসেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। সানজামুল ইসলামের টানা দুই ওভারে তারা আউট হন। ৩৬ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৪৫ রান করে প্রথমে সাজঘরে যান ইমরুল। বাটলার ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে আউট হন ৪৪ রান করেন। ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান লক্ষ্য থেকে ৬ রান দূরে থাকতে মাঠ ছাড়েন। মারলন স্যামুয়েলসের ব্যাটে আসে জয়সূচক রান। ৮ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান।