গত মাসে সার্ভিসেস কুস্তিতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাননি, সন্তুষ্ট ছিলেন রুপা নিয়ে। তবে বিজয় দিবস কুস্তিতে স্বর্ণপদক হাতছাড়া হয়নি ফারজানা মিতুর। প্রিয় ইভেন্ট ৬৩ কেজি ওজনশ্রেণিতে সাফল্য পেয়ে মিতু জানালেন, ছেলের প্রথম জন্মদিনে এটাই তার শ্রেষ্ঠ উপহার।
এ বছরের ৪ জানুয়ারি ছেলে ফয়সাল আহমেদ ফিহাদের জন্মদিন। সিজারিয়ান অপারেশনের পর কুস্তির ম্যাটে নেমে তিনি যে একের পর এক চমক দেখাবেন, কে ভেবেছিল? সেনাবাহিনীর সৈনিক মিতুকে ফাইনালে ওঠার জন্য কম বাধা পেরোতে হয়নি। শিরোপা জয়ের পথে হারিয়েছেন পাঁচ জনকে। ফাইনালে জেতার পর তিনি বললেন, ‘সিজারিয়ানের পর আমাকে আগের অবস্থায় ফিরতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সন্তান হওয়ার সময় ওজন ছিল ৮২ কেজি। সেখান থেকে ৬৩ কেজিতে নেমে আসা চাট্টিখানি কথা নয়। অনেক পরিশ্রমের পর আগের জায়গায় ফিরতে পেরেছি। সার্ভিসেস কুস্তিতে অল্পের জন্য সেরা হতে পারিনি। বিজয় দিবসে স্বর্ণপদক জিতে খুব ভালো লাগছে।’
প্রথম জন্মদিনে ফিহাদকে স্বর্ণপদক উপহার দিতে পেরে মিতু উচ্ছ্বসিত। বাসায় ফিরে সবার আগে ছেলের গলায় পদক পরিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘আমি পণ করেছিলাম, স্বর্ণপদক জিতে ছেলের গলায় পরিয়ে দেবো। ওর জন্মদিন আসছে, তার আগেই ওকে উপহার দিতে চেয়েছিলাম। আল্লাহর ইচ্ছায় তা করতে পেরেছি, আমি ভীষণ খুশি।’
ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ১৩টি স্বর্ণপদক জয়ী মিতু এসএ গেমস আর ইন্দো-বাংলা গেমসে রুপা জিতেছেন। মা হওয়ার পরও কুস্তির মতো কঠিন খেলায় নিয়মিত পদক জিতে চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি।