দায়িত্ব পাওয়ার পরই প্রথম সফর বাংলাদেশে। আর সেই সফরে তিন ফরম্যাটে তিন সিরিজ জয়। শ্রীলঙ্কার নতুন কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আদর্শ শুরু বলা যায় নিশ্চিতভাবে। বাংলাদেশের সাবেক কোচ অবশ্য এই সাফল্যেই থেমে থাকতে চাইছেন না। দলের ভবিষ্যৎ নির্মাণে ক্রিকেটারদের পুল বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছেন লঙ্কান এই কোচ!
এমন ভাবনার পেছনে রয়েছে বিস্তর পরিকল্পনা। সব পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে ক্রিকেটারদের আলাদা পুল বাছাই করতে চান তিনি, ‘আমরা ক্রিকেটারদের বড় পুল চাই। যারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে লড়াই করতে পারবে। প্রতিপক্ষের সামর্থ্য ও শক্তির দিক বিবেচনায় রেখেই এই পুল বাছাই করা হবে।’
দল নির্বাচনে খুঁত খুঁতে এই কোচ অবশ্য সেই পুলের ব্যাপারে ভাবছেন ভিন্নভাবেই, ‘সব ক্রিকেটারদেরই সমানভাবে সুযোগ মিলবে। যখন নির্বাচনের সময় আসবে তখনই বিষয়গুলো বোঝা যাবে।’ তবে এক দল নিয়েই পড়ে থাকতে চান না হাথুরুসিংহে। যারা পারফর্ম করবে তাদের দিয়েই সেরা কম্বিনেশন সাজাতে চান তিনি, ‘আমার বেলায় কখনও দেখবেন না এক দল নিয়ে পড়ে আছি। তবে এটা নিশ্চিত যারা পারফর্ম করবে তারাই দলে থাকতে পারবে। তবে সব সময়ই চেষ্টা থাকবে সেরা কম্বিনেশন দিয়ে যাতে জিততে পারি।’
হাথুরুসিংহের তেমন পরিকল্পনার অংশই ছিলেন জীবন মেন্ডিস। তিন বছর পর হঠাৎ করে দলে ডাক পেয়েছেন। তার প্রভাবটাও টের পাইয়ে দিয়েছেন প্রথম ওভারে দুই উইকেট নিয়ে, ‘আমরা তার প্রতিভা সম্পর্কে জানি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার রেকর্ড দেখে তার মতো একজনকে খুঁজছিলাম। তবে সব কিছু নির্ভর করছে প্রতিপক্ষের ওপর। সেখানকার পরিস্থিতির ওপরই নির্ধারণ করবে আমরা আসলে কী চাই।’
এমন কৌশল ছিল বলেই ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরুতে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সফল ভাবে। এমন পরিকল্পনার পর সন্তুষ্টি ঝরেছে তার কণ্ঠে, ‘আমরা জানতাম আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। প্রতিপক্ষ কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ খেলেছে। আর কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খেতে একটু সময়ও নিয়েছি। যা পরের খেলাতে শুধরে নিয়েছি।’
পরের সিরিজে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ঘরের মাঠে খেলবে শ্রীলঙ্কা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ফর্মে থাকা ভারত ও বাংলাদেশ। সেই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে মুখিয়ে আছেন তিনি, ‘আমরা বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে ও লড়াই করতে প্রস্তুত। তবে ক্রিকেটে ফল নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যায় না। তবে এটা নিশ্চিত করা যায় যে আমরা প্রত্যাশা করতে পারি, চেষ্টা করতে পারি। ভালো করে আরও অনুশীলন করতে পারি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারি।’