দেশের বাইরে খুব একটা খেলার সুযোগ হয় না নারী ক্রিকেটারদের। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা সফরের পর এ মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন রুমানা-সালমারা। তবে প্রোটিয়াদের মাটিতে অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। পাঁচ ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির সব ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশের যন্ত্রণা নিয়ে ফিরতে হয়েছে মেয়েদের।
তবে প্রাপ্তির খাতায় শুধুই শূন্যতা নেই। ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদের মতে, বাংলাদেশ দলের প্রাপ্তি অভিজ্ঞতা অর্জন। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, ‘অনেক দিন পর ওয়ানডে খেললাম। এ বছর পাঁচটা ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেলাম। আবার কবে খেলবো জানি না। সামনে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি। আমাদের প্রাপ্তি বলতে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি। দক্ষিণ আফ্রিকা ভালো দল, আর ভালো দলের বিপক্ষে খেলার জন্য কেমন প্রস্তুতি নেওয়া উচিত সেটা বুঝেছি। ভবিষ্যতে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।’
সব ম্যাচ হারের জন্য নিজেদের সীমাবদ্ধতাকেই দায়ী করলেন রুমানা, ‘আমার মনে হয় ওরা (দক্ষিণ আফ্রিকা) অনেক এগিয়ে গেছে। গত বছরের চেয়ে ওরা অনেক উন্নতি করেছে। ওদের পেস আক্রমণ অসাধারণ। সেই তুলনায় আমরা বেশ পিছিয়ে। অবশ্য যেভাবে হেরেছি, সেই তুলনায় আমরা ভালো দল। আসলে আমরা নিজেদের প্রমাণ করতে পারি নাই। তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনও আমাদের পারফরম্যান্সে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এখনও আমরা নিজেদের কন্ডিশন থেকে বের হতে পারিনি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরই ছিল মেয়েদের ক্রিকেট কোচ ডেভিড ক্যাপেলের শেষ ‘অ্যাসাইনমেন্ট’। দেড় বছর কাজ করা ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডারকে বিদায় জানানোর সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন রুমানা ও তার সতীর্থরা, ‘তিনি ১৮ মাস ছিলেন আমাদের সঙ্গে। বিদায়ের সময় খুব কষ্ট হচ্ছিল আমাদের। উনারও অনেক কষ্ট হচ্ছিল। এক সময় তো কেঁদেই ফেললেন, আমরাও কেঁদেছি। কাতার বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানিয়েছি আমরা।’