৯ বছর পর সাকিব আল হাসানের রুদ্রমূর্তি দেখলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৯ সালের পর আবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। জ্যামাইকা টেস্টে ৩৩ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে সেরা পারফরম্যান্স করলেন সাকিব। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেরা বোলিং।
জ্যামাইকার কিংস্টোনে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে মিগুয়েল কামিন্সের স্টাম্প উপড়ে যেতেই উল্লাসে মেতে ওঠেন সাকিব। শনিবার সকালে তার ঘূর্ণি জাদু ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কিছুটা হলেও ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। কামিন্সের উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে ১৮তম বার এক ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট অর্জন করেন তিনি।
শুক্রবার শেষ বিকেলে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়ে শুরুটা করেছিলেন। এরপর তৃতীয় দিন প্রথম সেশনে একে একে ডেভন স্মিথ, কিমো পল, কিয়েরন পাওয়েলের পর দ্বিতীয় সেশনে কামিন্সকে পঞ্চম শিকার বানান সাকিব। বোলিং ফিগার ১৭-৫-৩৩-৬; ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এর আগে তিনবার ইনিংসে ৬ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডরের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিবের ৫ উইকেটের প্রথম কীর্তি ২০০৯ সালে, সেন্ট জর্জেসে। ওই টেস্টে ৭০ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। তারপর ২০১১ সালে মিরপুরে উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট নেন তিনি।
সাকিব ইনিংসে সবচেয়ে বেশি তিনবার করে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুইবার করে এই কৃতিত্ব গড়েন। একবার করে পেয়েছেন ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে।
সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ বা তার বেশি উইকেট নেন ১০ বছর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৩৩৬ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন তিনি, যা এখনও তার ক্যারিয়ার সেরা টেস্ট বোলিং।