চ্যাম্পিয়নস লিগে বড় অঘটনের এক রাত কাটলো। বুধবারের রাউন্ডের শুরুটা হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের হার দিয়ে। তাদের পথ ধরে বাজে রাত পার করেছে ইউরোপের অন্য জায়ন্টরাও। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হেরে গেছে জুভেন্টাস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বায়ার্ন মিউনিখ করেছে ড্র। অবশ্য ম্যানচেস্টার সিটি জয় নিয়ে ছেড়েছে মাঠ।
জুভেন্টাস ও ম্যানইউ আগেই নিশ্চিত করেছিল শেষ ষোলো। ‘এইচ’ গ্রুপে তাদের লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সেই লক্ষ্যে জুভেন্টাস খেলতে গিয়েছিল ইয়াং বয়েজের মাঠে। আর ম্যানইউ আতিথ্য নিয়েছিল ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে। কিন্তু দুই দলকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে হার নিয়ে। সুইস ক্লাব ইয়াং বয়েজ ২-১ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাসকে। আর ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়া একই ব্যবধানে হতাশ করেছে ম্যানইউকে।
দুই দলই হেরে যাওয়ায় আগের ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জুভেন্টাস। আর ১০ পয়েন্ট পাওয়া ম্যানইউ হয়েছে রানার্স-আপ। ইংলিশ ক্লাবকে হারিয়ে দেওয়া ভ্যালেন্সিয়া ৮ পয়েন্ট নিয়ে জায়গা করে নিয়েছে ইউরোপা লিগে।
ঘরের মাঠে গুইলামি হোরাউয়ের জোড়া লক্ষ্যভেদে জুভেন্টাসকে হারিয়েছে ইয়াং বয়েজ। ম্যাচের ৩০ মিনিটে লিড নেয় স্বাগতিকরা ফরাসি স্ট্রাইকারের পেনাল্টি গোলে। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করা ইয়াং বয়েজের ব্যবাধন দ্বিগুণ করেন হোরাউ ৬৮ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করে। ৮০ মিনিটে পাউলো দিবালার গোলে জুভেন্টাস খেলায় ফেরায় ইঙ্গিত দিলেও হার ঠেকাতে পারেনি।
ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ মেস্তায়ায় আত্মঘাতী গোলই ‘কাল’ হয়েছে ম্যানইউয়ের জন্য। ১৭ মিনিটে কার্লোস সোলারের লক্ষ্যভেদে পিছিয়ে পড়ার পর ৪৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে ফিল জোন্সের আত্মঘাতীতে। এরপর ৮৭ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের ব্যবধান কমানো গোলটা শুধু হতাশাই বাড়িয়েছে ম্যানইউ সমর্থকদের।
‘ই’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লাল কার্ড পাওয়া ম্যাচে আয়াক্সের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। আমস্টারডামের চরম উত্তেজনাকর ম্যাচে রবার্ত লেভানদোস্কির লক্ষ্যভেদে ১৭ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্নই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ৬১ মিনিটে খেলায় সমতা ফেরান দুসান তাদিচ। সার্বিয়ান এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের পেনাল্টি গোলেই ৮২ মিনিটে উল্টো এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। যদিও ৮৭ মিনিটে পাল্টা পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের সমতায় ফেরান লেভানদোস্কি। এরপর কিংসলি কোমানের গোলে আবারও এগিয়ে যায় বায়ার্ন। তবে ইনজুরি টাইমের পঞ্চম মিনিটে নিকোলাস তাগিয়াফিকোর লক্ষ্যভেদে ৩-৩ গোলের ড্রতে মাঠ ছাড়ে আয়াক্স। তাতে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি।
‘এফ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ম্যানসিটি। ঘরের মাঠে লিরয় সেনের জোড়া লক্ষ্যভেদে তারা ২-১ গোলে হারিয়েছে হোফেনহেইমকে। তাদের সঙ্গে এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে গেছে লিওঁ, যারা শাখতার দনেৎস্কের মাঠ থেকে ফিরেছে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে। গোল ডটকম