X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বসুন্ধরার প্রথম হোঁচট

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫২আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৫

বসুন্ধরার আক্রমণ ব্যর্থ হয়েছে বিজেএমসির গোলমুখে বসুন্ধরা কিংসের টানা ৫ ম্যাচের জয়যাত্রা থামালো বিজেএমসি। উড়তে থাকা নবাগত ক্লাবকে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে থাকা দলটি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এই মৌসুমে প্রথম ড্রয়ে বসুন্ধরা ছুঁতে পারলো না শীর্ষে থাকা আবাহনীকে।

৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আবাহনী। এক ম্যাচ কম খেলে দুই পয়েন্টে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বসুন্ধরা (১৬)। ৭ ম্যাচে মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে উঠে গেছে বিজেএমসি।

নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ম্যাচে আধিপত্য ধরে রেখে খেলে বসুন্ধরা। একের পর এক আক্রমণে গেলেও গোল পায়নি তারা। ৩১ মিনিটে কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ার দেশোবিকভের ফ্রি কিক ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। বিজেএমসি গোলরক্ষক আবুল কাশেম মিলন ৪ মিনিট পর তাদের আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন।

শেষ ৪৫ মিনিটেও বসুন্ধরা ব্যর্থ ছিল গোলমুখের সামনে। গোলপোস্টের নিচে তাদের সামনে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন মিলন। ৫৬ মিনিটে কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড দানিয়েল কোলিনদ্রেসের ফ্রি কিক শেষ মুহূর্তে ফিরিয়ে দেন বিজেএমসি গোলরক্ষক। ৬২ ও ৬৫ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস ভিনিসিয়াসকে দুইবার রুখে দেন তিনি। নাসিরউদ্দিনকে ৬৭ মিনিটে হতাশায় ভাসিয়ে গোললাইন থেকে তার শট ফিরিয়ে দেন বিজেএমসির ডিফেন্ডার।

আক্রমণে গিয়েও গোল করতে না পারার আক্ষেপ না কাটতেই বড় ধাক্কা খায় বসুন্ধরা। ৭৭ মিনিটে ডিবক্সে ঢোকার আগে অধিনায়ক স্যামসন ইলিয়াসুকে ফেলে দেন নাসিরউদ্দিন। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখান বসুন্ধরা ডিফেন্ডারকে। রক্ষণের এই দুর্বলতার সুযোগ শেষ ১৩ মিনিটে কাজে লাগাতে পারেনি বিজেএমসি।

গোলশূন্য ড্রয়ের পর মাঠে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। রেফারি জালাল উদ্দিনের ওপর চড়াও হয় বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় ও কোচরা। মাঠের বাইরে হলুদ কার্ড দেখেন তাদের মিডফিল্ডার দেশোবিকভ। আর স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন রেফারির দিকে তেড়ে যাওয়ার আগেই তাকে আটকান কোচিং স্টাফের অন্যরা।

এদিন আরেক ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা এগিয়ে থাকলেও ২-২ গোলের ড্রয়ে রহমতগঞ্জের কাছে পয়েন্ট হারিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল মুক্তিযোদ্ধা। দুটি গোলই করেন আইভরি কোস্টের ফরোয়ার্ড বালো ফামুসা। ১৪ ও ২০ মিনিটের গোলে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান তিনি। লিগে ৭ গোল তার, এতে এককভাবে শীর্ষ গোলদাতার আসনে বসেছেন তিনি। দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার ৪ মিনিট পর মিডফিল্ডার ইউসুকে কাতো লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দল হয় মুক্তিযোদ্ধা।

দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোলে সমতা ফেরায় রহমতগঞ্জ। ৫২ মিনিটে সিও জুনাপিও ব্যবধান কমান। চৌম্রিন রাখাইন ৫৬ মিনিটে সমতা ফেরানো গোল করেন।

৭ ম্যাচে চতুর্থ ড্রয়ে রহমতগঞ্জের পয়েন্ট ৪। এক ম্যাচ কম খেলে মুক্তিযোদ্ধার পয়েন্ট ৭, তাদের অবস্থান ৮ নম্বরে।

/টিএ/এফএইচএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিক্রির জন্য সবজি কিনে ফেরার পথে দুই ব্যবসায়ী নিহত
বিক্রির জন্য সবজি কিনে ফেরার পথে দুই ব্যবসায়ী নিহত
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি