ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তামিম-মুশফিকরা। আল নূর মসজিদের কাছেই জুম্মার নামাজের জন্য পৌঁছেছিলো জাতীয় দলকে বহন করা বাস। শ্বাসরূদ্ধকর সেই মুহূর্তে ছিলো না কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় তামিম ইকবাল তখনই বাস থেকে সহায়তা চেয়েছিলেন ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসামের কাছে। সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আপনজনের মতো পাশে থাকায় তার প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছেন তামিম।
নিজের টুইটারে তামিম লিখেছেন, ‘আপনি আমাদের জন্য যা করেছেন শুধু ধন্যবাদ তার জন্য যথেষ্ট নয়। আমরা ভাবতেই পারিনি শুধু মানবিকতার খাতিরে আপনি দৌড়ে আমাদের কাছে চলে আসবেন। কারণ তখন কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো না। আপনার অবদানের কথা আমরা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মনে রাখবো।’
শুরুতে অবশ্য তামিমের কথা শুনে পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতেই পারেননি ইসাম। কিন্তু তামিম যখন ফোন করে বলেন, ‘ভাই আমাদের বাঁচান, এখানে গোলাগুলি হচ্ছে, আমরা বাসের মেঝেতে মাথা গুঁজে আছি’ তখনই ঘটনার প্রচণ্ডতা বুঝতে পারেন তিনি। কয়েকজন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে ক্রিকেটারদের সাহায্য করতে স্থানীয় এক নারীর গাড়িতে করেই ঘটনাস্থল পৌঁছান ইসাম।
সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ইসাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমরা যখন সেখানে পৌঁছাই, আল নূর মসজিদের কাছে রাস্তার মোড় তখন পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছিলো।’ পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝেও সেই মসজিদের কাছে যেতে চেয়েছিলেন ইসাম, ‘তখন আমি সেই মসজিদের কাছে দৌড়ে যাচ্ছিলাম টিম বাস খুঁজতে। যদিও রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। বাস স্পট করেই সেখানে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে এভাবে রাস্তা পার হওয়া বিপজ্জনক। তখন পেসার এবাদত হোসেন আমার হাত ধরে ফেলে তাদের সঙ্গে যেতে বলে।’
কিন্তু তখনও পরিস্থিতিটা প্রতিকূলে ছিলো। ইসাম জানিয়েছেন, ‘ওই সময়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমরা পার্কের ভেতর দিয়ে হেঁটে হ্যাগলি ওভালে পৌঁছাই। পার্কের ভেতরে শুরুতে দৌড়াতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তামিম বললো দ্রুত হাঁটতে। দৌড়ালে পুলিশ যদি আমাদের সন্ত্রাসী মনে করে সেজন্য এই সাবধানতা।’
@Isam84 Wat u guys hv done fr us is smthin tht we cannot thanku enough fr. We nevr expected fr u to cm to save us literally running WITHOUT any security just out of humanity to help us. We will remember this till our last breath. https://t.co/wDKKv0GtYE
— Tamim Iqbal Khan (@TamimOfficial28) March 17, 2019