X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ষপূর্তি বিশেষ: শিরিনের ভাবনায় গ্র্যান্ডমাস্টার

তানজীম আহমেদ
১৫ মে ২০১৯, ১৪:৫০আপডেট : ১৫ মে ২০১৯, ১৫:০০

শারমিন সুলতানা শিরিন। বাংলাদেশে গ্র্যান্ডমাস্টার আছেন পাঁচজন। বলাই বাহুল্য, পাঁচজনই পুরুষ। নারী গ্র্যান্ডমাস্টার এখনও স্বপ্ন আমাদের জন্য। রানী হামিদ ও শারমিন আক্তার লিজার পর গত মার্চে তৃতীয় মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার পেয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান জোনাল দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাবই শুধু পাননি, আগামী বছর বিশ্ব মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের টিকিটও মুঠোবন্দি করেছেন শারমিন সুলতানা শিরিন।


লাল-সবুজ পতাকা সর্বশেষ গ্র্যান্ডমাস্টার পেয়েছিল প্রায় ১০ বছর আগে, এনামুল হোসেন রাজীবের সৌজন্যে। বাংলাদেশে দাবার সেরা সম্মান অর্জন সহজ কথা নয়। একজন মেয়ের পক্ষে তো জিএম হওয়া এভারেস্ট ছোঁয়ার মতোই ব্যাপার। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন খুব কমই হয়। অন্যদিকে দেশের বাইরে কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। কারণটা স্পষ্ট, স্পন্সর পাওয়া খুব কঠিন। নিয়াজ মোর্শেদ আর জিয়াউর রহমান ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিদেশের টুর্নামেন্টে অংশ নিলেও একজন মেয়ের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। আর বেশি বেশি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ ছাড়া কি গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া সম্ভব?
ভারতে চারজন মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার থাকলেও বাংলাদেশে একজনও নেই। বাস্তবতা বুঝে শিরিনের উপলব্ধি, ‘বাংলাদেশের একজন মেয়ের পক্ষে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া সত্যিই কঠিন। জিএম হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি অনেক সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই ইচ্ছে থাকলেও আমাদের দেশ থেকে গ্র্যান্ডমাস্টারের পথে এগিয়ে যাওয়া মুশকিল।’
২০১৩ সালে হয়েছিলেন ফিদে মাস্টার। ছয় বছর পর পেলেন আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব। জাতীয় দাবার তিনটি শিরোপা তার মুঠোয়। তবু শিরিনের কণ্ঠে আক্ষেপ, ‘আপনি কোথায় পৌঁছাতে চান সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক কিছু দরকার। আমরা কতটুকুই বা সহযোগিতা পাই? আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টই তো নিয়মিত হয় না। আরও সুযোগ-সুবিধা পেলে অনেক আগেই আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারতাম। আর তাহলে গ্র্যান্ডমাস্টারের পথে অনেকটা এগিয়ে থাকতাম এখন।’
তবে যত কঠিনই হোক, জিএম নর্মের স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় শিরিনের। দাবা ফেডারেশনের কাছে তার অনেক প্রত্যাশা, ‘ফেডারেশন চাইলে আমাদের দেশ থেকে আরও গ্র্যান্ডমাস্টার উঠে আসা সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারলে বাংলাদেশের দাবা অনেক দূর যেতে পারবে। আমাদের দেশে অনেক সম্ভাবনাময় দাবাড়ু আছে। তাদের শুধু নিবিড় পরিচর্যা দরকার।’
তার ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন কম নয়। তবে জীবনের প্রতিকূল সময়েও দাবার প্রতি ভালোবাসা কমেনি শিরিনের। ২০১০ সাল থেকে দাবা অলিম্পিয়াডে নিয়মিত অংশ নেওয়ার সুফলও পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মাস্টারের পর তার চোখে এখন গ্র্যান্ডমাস্টারের স্বপ্ন।

/এএআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিক্রির জন্য সবজি কিনে ফেরার পথে দুই ব্যবসায়ী নিহত
বিক্রির জন্য সবজি কিনে ফেরার পথে দুই ব্যবসায়ী নিহত
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি