প্রথম ইনিংসটি ছিল ১৯১ রানের। আর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই ৩৯৫ রান! পাকিস্তানের হঠাৎই এমন উন্নতির কারণ দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিং। শান মাসুদ আর আবিদ আলীর জোড়া সেঞ্চুরিতে করাচি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দারুণ জায়গায় রয়েছে স্বাগতিক দল। প্রথম ইনিংসে ৮০ রানের ঘাটতি পুষিয়ে পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে গেছে ৩১৫ রানে।
বিনা উইকেটে ৫৭ রানে দিন শুরু করা পাকিস্তান প্রথম সেশনে কোনও উইকেট হারায়নি। বরং রান তুলেছে ওভার প্রতি সাড়ে ৪ করে। শান ও আবিদ রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন শ্রীলঙ্কান বোলারদের ওপর। দুজনে মিলে গড়েছেন ২৭৮ রানের জুটি।
গত সপ্তাহে রাওয়ালপিন্ডিতে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করা আবিদের আবারও তিন অঙ্কে পৌঁছাতে তেমন সমস্যাই হয়নি। শান মাসুদও করেছেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তাই ঠিক দেড় যুগ পর একই ইনিংসে দুই সেঞ্চুরিয়ান ওপেনারের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। সর্বশেষ এমন ঘটনার জন্ম ২০০১ সালে। সে বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে মুলতান টেস্টে একই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাঈদ আনোয়ার ও তৌফিক উমর।
শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে হতাশ করা জুটিটা ভেঙেছেন লাহিরু কুমারা।পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন শান। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৩৫ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার।
অন্যপ্রান্তে আবিদ ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি। তার ‘ঘাতক’ও কুমারা। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে আবিদের অবদান ১৭৪ রান, যেখানে ছক্কা একটি আর বাউন্ডারি ২১টি।
৩৫৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর দলের আর ক্ষতি হতে দেননি অধিনায়ক আজহার আলী ও বাবর আজম। আজহার ৫৭ আর বাবর ২২ রানে অপরাজিত।