X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিটিসেলের গ্রাহকরা এখন কী করবেন?

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ অক্টোবর ২০১৬, ২৩:৩৯আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০১৬, ২৩:৩৯

ফাইল ছবি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত তথা অপারেটরটির কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরপর থেকেই বন্ধ রয়েছে অপারেটরটির সকল সংযোগ। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও কোনও সিটিসেল নম্বর খোলা পাওয়া যায়নি।
বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তের পরে একাধিক গ্রাহক এই প্রতিবেদককে তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মোবাইল পেমেন্ট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার মূল নম্বরটি ছিল সিটিসেলের। আমি কয়েকটি স্কুলে এই সেবা দেই। হাজারও শিক্ষার্থী আমাদের এই সেবা নেয়। এই সমস্যা আমরা কিভাবে কাটিয়ে উঠব বুঝতে পারছি না।’
একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ‘তাদের হান্টিং নম্বর সিটিসেলের। যদিও বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছিলেন তিনি। তবে পুরনো নম্বরটির জন্য আমার ব্যবসায়ে ক্ষতি হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে সিটিসেলের গ্রাহকদের দুই সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প সেবা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানায়। সে হিসেবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় পান গ্রাহকরা। যদিও ১৪ আগস্ট ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটিসেলের গ্রাহকরা আরও সময় পাবেন।

এরপরে সিটিসেল উচ্চ আদালতে গেলে বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্তে ওপর চলে যায়। বিটিআরসি ওই নোটিশ দিলে সিটিসেল আপিল বিভাগে যায়। আপিল বিভাগ গত ২৯ আগস্ট সিটিসেলের বকেয়া টাকা পরিশোধ করার শর্তে অপারেশন চালিয়ে যেতে বলে। এজন্য সিটিসেল পেয়েছিল দুই মাস সময়। সিটিসেলের বকেয়া ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধের কথা বলা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললেও কেউই নিজেকে উদ্ধৃত করে কথা বলতে রাজি হননি। বলতে পারেনি তাদের সক্রিয় প্রায় দেড় লাখ (বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত) গ্রাহকের কি হবে?

 

বিটিআরসি যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে গ্রাহকদের বিকল্প পথ ছাড়া আরও অন্যকোনও পথে যাওয়ার উপায় নেই। বিটিআরসি প্রকাশিত (গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত) তথ্য অনুসারে সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা ৬ লাখ ৬৮ হাজার।

এদিকে সংযোগ বন্ধ না করে বিকল্প ব্যবস্থার দাবি ছিল সিটিসেল গ্রাহক ফোরামের।

গত ১ আগস্ট সিটিসেল গ্রাহক ফোরামের আহ্বায়ক পারভেজ আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, হঠাৎ করে বিটিআরসি নেওয়া এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ। অনেকেই ব্যবসায়ী নম্বর হিসেবে সিটিসেল ব্যবহার করে আসছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ব্যবসায়ীরা। সিটিসেল সিমগুলো সরকারি মোবাইল কোম্পানি টেলিটক বা অন্য যে কোনও কোম্পানিতে মাইগ্রেশন করার দাবি জানান পারভেজ আহমেদ।

সিটিসেল গ্রাহক ফোরামের মুখপাত্র এ আর সীমান্ত বলেন, ‘আমরা সিটিসেল গ্রাহক ফোরামের পক্ষ থেকে বিটিআরসি বরাবর স্মারকলিপি দেব।’

সিটিসেল গ্রাহক ফোরামের সদস্য হাসান কবির বলেন, ‘আমার ব্যবসার প্রথম থেকে আমি সিটিসেল ব্যবহার করে আসছি। সারাদেশে থাকা কাস্টমারদের কাছে আমার সিটিসেল নম্বরটি রয়েছে। এখন যদি এই নম্বরটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমার ব্যবসায় ধস নামবে। বিটিআরসি’র উচিত সিটিসেল গ্রাহকদের জন্য একটি বিকল্প ব্যবস্থা করা।’

/এইচএএইচ/এনএস/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
সর্বাধিক পঠিত
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন