পটুয়াখালীর বাউফলে দুই যুবলীগ নেতাকে খুনের মামলার প্রধান আসামি কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. জামাল হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান। এর আগে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন তিনি।
নিহত রুমানের বড় ভাই মফিজ উদ্দিন পিন্টু বলন, ‘উচ্চ আদালত থকে জামিন পাওয়ার পরে এলাকায় এসে আনন্দ মিছিল দিয়েছেন তিনি। এতে এলাকার সাধারণ মানুষসহ সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আমরাও আতঙ্কে ছিলাম।’
ঘটনার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কমল দত্ত জানান, গত ২ আগস্ট সন্ত্রাসীরা কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রুমান তালুকদার (৩১) ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগকর্মী ইশাদ তালুকদারকে (২৫) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত রুমানের বড় ভাই মফিজ উদ্দিন পিন্টু ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে।
প্রসঙ্গত, কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকুর সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।