X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি পেতে

মেহনাজ বিনতে ওয়াহিদ
০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৯:০২আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১৭:১৮

বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন এক মারাত্মক ব্যাধি। এটি মানুষকে ধীরে ধীরে অক্ষমতার দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। জীবনের কোনও না কোনও সময় কমবেশি স্ট্রেস, বিষণ্ণতায় ভোগাটা স্বাভাবিক। তবে দীর্ঘদিন ধরে এটি চলতে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ডিপ্রেশন এমন একটি মেন্টাল ডিসঅর্ডার, যার কারণে মানুষের জীবন ক্ষতবিক্ষত হয়ে যেতে পারে।

ডিপ্রেশন কী?
বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন, স্ট্রেস এমনই মারাত্মক ব্যাধি যা মানুষের অনুভূতি, চিন্তা ও কাজ-কর্মের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনেক সময়, আমরা আমাদের মন খারাপ বা দুঃখবোধ ও বিষণ্ণতাকে এক বলে মনে করি। কিন্তু এই দুটো এক নয়। দুঃখবোধ হলো সাময়িক মন খারাপ, যা কিছু সময়ের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। আর এর জন্য কোনও চিকিৎসার দরকার হয় না। কিন্তু ডিপ্রেশন দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

বিষণ্ণতার কারণ
অনেকসময় পড়াশোনায় ব্যর্থ হলে বা কোনও কাজে সফল না হতে পারলে বয়ঃসন্ধিকালের ছেলে মেয়েরা বিষণ্ণতায় ভোগে। বন্ধুদের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণেও বিষণ্ণতা দেখা দেয়। কলেজ মানেই সদ্য স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে এক নতুন রঙিন জগৎ। নতুন বন্ধু-বান্ধব, পাশাপাশি প্রেমের আনাগোনা। সেই প্রেমে ধাক্কা খেয়ে বিষণ্ণতায় ভোগে এই বয়সী ছেলে-মেয়েরা। এছাড়াও নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হওয়া, হঠাৎ বড় দুঃসংবাদ, আপন কারোর মৃত্যু ইত্যাদি হতে পারে বিষণ্ণতার কারণ।  

ডিপ্রেশনের লক্ষণ

  • এক্ষেত্রে ব্যক্তির মন-মেজাজের পরিবর্তন হয়। সবকিছুতেই নেতিবাচক মনোভাব দেখা যায়।
  • তারা সাধারণত স্বাভাবিক কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে, শক্তিহীন, অলস ও নিস্তেজ বোধ করে।
  • ঘুম হয় না। ক্লান্তি অনুভব হয়।
  • রোজকার খাদ্যাভাসে অনীহা দেখা দেয়।
  • নিজের প্রতি খেয়াল রাখার ইচ্ছা থাকে না।
  • যেকোনও কাজে মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।
  • অল্পতেই কেঁদে ফেলার ইচ্ছা হয়।
  • কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাঁচার ইচ্ছে চলে যায়।
  • অবসাদের সবচাইতে বড় উপসর্গ হলো যেটা করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেটা না করার ইচ্ছা।

বিষণ্ণতা দূর করার উপায়
শুধুমাত্র টিনএজারই নয়, মধ্যবয়স্ক থেকে বয়স্ক প্রত্যেকেই কখনও না কখনও ডিপ্রেশনে ভুগে থাকেন। বিষণ্ণতা যেমন মানুষের ক্ষতি করে, তেমনি এর থেকে মুক্তির উপায়ও আছে। তবে এগুলোতে কাজ না হলে অবশযই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

  • গান বা মিউজিক শুনতে পারেন। মানুষের মনকে নিমেষের মধ্যে বদলাতে পারে এটা। মিউজিক শুনলে আমাদের মন শান্ত হয়ে যায়। মস্তিষ্ক আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
  • পর্যাপ্ত সময় ঘুমানো উচিৎ এবং সঠিক সময় খাবার খাওয়া উচিত।
  • বাইরে ঘুরতে যাওয়া ও নিজের জন্য শপিং করতে পারেন।
  • রোজ ডায়রি লেখার অভ্যাস করুন।
  • হাসির সিনেমা দেখতে পারেন বা কমিকস্ পড়তে পারেন।
  • শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান।
  • নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন।
/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
‘শো মাস্ট গো অন’
চিকিৎসা সুরক্ষা আইন জরুরি‘শো মাস্ট গো অন’
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!