ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৭ মার্চ সংঘটিত তাণ্ডবের সময় পুলিশের গুলি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দুই হেফাজত কর্মীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার সুহিলপুরের মৃত ছমির আলীর ছেলে আরব আলী (৪০) ও মৃত রমিজ মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৪২)। উভয়েই পেশায় ফল ব্যবসায়ী। এসময় তাদের কাছ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে হেফাজতের তাণ্ডবে জড়িত থাকার দায়ে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত মনু মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন (৪৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মো. চান মিয়ার পুত্র মো. সুমন (৩৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রইছ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ লাইন্স আসামি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার পথে সদর মডেল থানাধীন সুহিলপুর বাজারের শেষ মাথায় পাকা রাস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী তাদের গাড়ির গতিরোধ করে সরকারি কর্তব্য কাজে বাধাদান করে। এসময় খুনের উদ্দেশ্যে পুলিশকে মারধর করে ও আসামি পালানোর সুযোগ করে দেয়। হামলার সময় ২০ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা।
এই ঘটনায় মৌলভীবাজার পুলিশের নায়েক মো. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার পুলিশের বিশেষ একটি টিমের সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাদের দেখানো মতে ব্রাহ্মণবড়িয়া সদর থানাধীন সুহিলপুর বাজারের পিয়াসা মিষ্টি ভাণ্ডার দোকানের টিনের চালের ওপর হতে ২০ রাউন্ড চায়না গুলি উদ্ধার করে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবে জড়িত থাকার দায়ে জাকির হোসেন ও সুমন নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা পুলিশের তথ্য অনুয়ায়ী, এখন পর্যন্ত ৪৯টি মামলায় ৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে দুইজন হেফাজত কর্মী রয়েছে।