অ্যাজমা দুই ধরনের আছে- ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা ও কার্ডিয়াল অ্যাজমা। ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা ও কার্ডিয়াক অ্যাজমা দুটোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা হলো শ্বাসনালীর প্রদাহ। শ্বাসনালীর প্রদাহের কারণে যে শ্বাসকষ্ট হয়, সেটি ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা। আর কার্ডিয়াক অ্যাজমা হলো একিউট লেফ্ট ভেন্টিকুলার ফেইলিউর। এটি হার্টের কারণে হয়। দুটো বিষয় দুটো পদ্ধতির কারণে হয়। হার্টের জন্য কার্ডিয়াক অ্যাজমা। ব্রঙ্কাসের জন্য ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা।
ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমার লক্ষণ
প্রথমেই রোগীর শ্বাসকষ্ট থাকে। শ্বাসকষ্ট দুই রকম আছে। হঠাৎ করে বেশি শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কিছু কিছু শ্বাসকষ্ট আছে, তার সঙ্গে শুকনো কাশি থাকতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের সাথে জ্বরও আসতে পারে। রোগী ঘন ঘন শোঁ শোঁ শব্দে নিঃশ্বাস ফেলে। এ ছাড়া বুকে টান ধরা বা চাপ সৃষ্টি হওয়া এবং কাশির ফলে ফুসফুস থেকে থুতু উৎপন্ন হওয়াও এই ধরনের অ্যাজমার লক্ষণ।
ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা হওয়ার কারণ
সাধারণত পরিবেশের কারণে এ ধরনের অ্যাজমা হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে কিংবা ভাইরাল ইনফেকশনের কারণেও হতে পারে। সেই সাথে কিছু কিছু খাবারের কারণেও এই অ্যাজমা হয়।
রোগীর যেসব তথ্য জানা প্রয়োজন
শ্বাসকষ্ট কি এমন যে বুকের উপর চাপ দিয়ে ধরে আছে? অ্যাজমা বাড়ে এমন খাবার গ্রহণ করেছে কি না তা ও জেনে নেবেন। বাবা-মা বা বংশের কারোর ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা ছিল কি না তা জানতে হবে। ধূমপান করেন অথবা ধূমপানরত কারোর কাছে থাকেন কি না জানতে হবে।
চিকিৎসা
চিকিৎসক রোগীর অবস্থা দেখে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অ্যাজমাটিক ড্রাগ ও সাথে ইনহেলার দিতে পারেন । নিজে অথবা ফার্মেসি থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রতিরোধ
- ধূমপান ও অন্যান্য তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যাবহার করা যাবে না।
- ধুলাবালি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
- যে খাবারে অ্যাজমা বাড়ে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
লেখক: চিকিৎসক, ঢাকা কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মগবাজার, ঢাকা।