X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বলিউডে আসার আগে কী করতেন তারা?

ফয়সল আবদুল্লাহ
২৬ মে ২০২১, ১৫:৫৭আপডেট : ২৬ মে ২০২১, ২০:৪৮

হলিউড বলুন আর বলিউড, হুট করে তো আর স্কুল-কলেজ থেকে বেরিয়ে সবাই নায়ক-নায়িকা হয়ে যাননি। কেউ কেউ হরেক জায়গায় ধরনা দিয়ে পেয়েছিলেন এক চিলতে রোল, কেউ আবার দিনের পর দিন অভিনয় করেছেন পার্শ্বচরিত্রে। কিন্তু এদের কেউ কেউ আবার একেবারেই ছিলেন ভিন্ন পেশায়।

নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি

অভিনয়ের অ, আ থেকে একেবারে চন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত দেখিয়ে দেওয়া ভারিক্কি এ তারকা একসময় সিনেমার ধারে-কাছেও ছিলেন না। চাকরি করতেন একটি পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানিতে কেমিস্ট হিসেবে। আবার এর আগে কাজ করেছেন পাহারাদারেরও। এরপর একদিন সুযোগ পেলেন স্বপ্ন পূরণের। ঢোকার সুযোগ পেলেন ফিল্ম স্কুলে।

রণবীর সিং

বলিউডের পাওয়ারহাউজ পারফরমার বলা হয় তাকে। সিনেমায় আসার আগে কাজ করেছেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার কপিরাইটার হিসেবে।

পরিনীতি চোপড়া

প্রথম ছবি ‘ইশকজাদে’ সিনেমাটি যে প্রডাকশন হাউজ থেকে বের হয়েছিল, সেই প্রতিষ্ঠানেরই মার্কেটিং ইন্টার্ন হিসেবে দীর্ঘদিন চাকরি করেছন পরিনীতি। কোম্পানির কর্তাব্যক্তিরাই তার প্রতিভা বুঝতে পেরে বললেন, কাগজপত্র নিয়ে অনেক হলো, এবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াও বাপু।

শহীদ কাপুর

ইনি অবশ্য ‘ছোটবেলা’ থেকে ফিল্মেই ছিলেন। সে হিসেবে এ তালিকায় তার নাম থাকার কারণ ছিল না। কিন্তু এটা না বললেই নয় যে, একসময় সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার হিসেবে কাজ করে আয় করতেন শহীদ কাপুর। ‘তাল’ সিনেমার ‘তাল সে তাল মিলা’ গানটিতে ঐশ্বরিয়ার মাথায় একটা সাদা কাপড় পেঁচিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল কিশোর শহীদকে। বিখ্যাত ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ গানেও তিনি ছিলেন নেপথ্যের সারিতে।

সোনাক্ষি সিনহা সোনাক্ষি সিনহা

দাবং-এ ভাগ্য খোলার আগে তাকে দেখা যেত অন্যের পোশাক আশাক নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে। ফিল্মের কস্টিউম ডিজাইনারের কাজ করতেন সোনাক্ষি।

অক্ষয় কুমার

অক্ষয়ের সিনেমায় আসার আগের ক্যারিয়ারের গল্পটাই বোধহয় শোনা গেছে সবচেয়ে বেশিবার। ব্যাংককের একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটার ও শেফের কাজ করতেন তিনি। একই কাজে এসেছিলেন ঢাকায়ও। কাজ করেছেন ট্রাভেল এজেন্ট হিসেবেও। এমনকি মার্শাল আর্টের কোচিং সেন্টারও ছিল তার।

মাধবন

‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ও ‘থ্রি ইডিয়টস’ খ্যাত আর মাধবন আগেও ছিলেন প্রায় তারকা। তবে সেটা অন্য ক্যাটাগরিতে। পাবলিক স্পিকার ছিলেন তিনি। সোজা বাংলায় মঞ্চে উঠে এটা-ওটা বলে মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে দু-চার পয়সা কামাতেন। আবার পারসোনালিটি ডেভেলপমেন্ট ট্রেনার নামে খটোমটো একটা কাজও করতেন তিনি।

রজনীকান্ত

দক্ষিণের এ মহাতারকার সঙ্গে মিল আছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির। দুজনই একেবারে চূড়ায় উঠেছেন ‘জিরো’ থেকে। মোদির ছিল চায়ের দোকান আর রজনীকান্ত ছিলেন বাসের কনডাকটর!

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
ইরফান খান: জীবনের মোড় ঘুরেছিল ২০০ রুপির অভাবে!
প্রয়াণ দিনে স্মরণইরফান খান: জীবনের মোড় ঘুরেছিল ২০০ রুপির অভাবে!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
প্রেক্ষাগৃহ থেকে না নামতেই উঠলো পাঠ্যসূচিতে!
প্রেক্ষাগৃহ থেকে না নামতেই উঠলো পাঠ্যসূচিতে!
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা