ভোলা সদরের ইলিশায় নির্মাণাধীন একটি সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে আব্দুল মালেক (৫০) ও মো. জসিম (৩৫) নামে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের ডাক-চিৎকারে ভেতরে প্রবেশ করলে মো. শাহাবুদ্দিন (২৯) ও মো. কবির (৩৫) নামের আরো দুই যুবক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শনিবার (৫ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মালেক ওই বাড়ির মালিক। তিনি ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পন্ডিতের হাট এলাকার তজু ব্যাপারীর ছেলে ও নিহত জসিম একই এলাকার কালু মিয়ার ছেলে।
মো. আলাউদ্দিন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সকালের দিকে আব্দুল মালেক বাড়ির নির্মাণাধীন নতুন সেপটিক ট্যাংকের কাজ করাতে মিস্ত্রী আনান। পরে মিস্ত্রী মো. জসিম সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেন। তার সঙ্গে আব্দুল মালেক নিজেও ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হলে তারা ডাক-চিৎকার শুরু করেন। তাদের উদ্ধারে শাহাবুদ্দিন ও কবিরও সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ঢুকলে তারাও গ্যাস ক্রিয়ায় আক্রান্ত হন। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের চারজনকেই উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আমানুল্লাহ্ জানান, সেপটিক ট্যাংকের দুর্ঘটনায় চার জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে আব্দুল মালেক ও মো. জসিম মারা গেছেন। এ ছাড়াও চিকিৎসাধীন রয়েছেন মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. কবির।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আনিসুল রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় ট্যাংকির ভেতর থেকে চারজনকে উদ্ধার করেন সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জন নিহত হয়েছেন।