X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ে উঠে অনলাইন ক্লাস!

বিদেশ ডেস্ক
০৮ জুন ২০২১, ২৩:৩১আপডেট : ০৮ জুন ২০২১, ২৩:৩২

করোনা মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় থমকে গেছে ক্লাসে পাঠদান। তাই বলে পড়াশুনা বন্ধ থাকবে? একদমই নয়। কাশ্মিরের বারামুলার লিম্বার গ্রামে কমবেশি ৬৫০ পরিবারের বসবাস। পাকা রাস্তা তো দূরে, পায়ে হেঁটে চলাচলই বেশ কষ্টকর। শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেই ইন্টারনেট সেবা। কিন্ত নেটওয়ার্কের শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান যুগিয়ে যাচ্ছেন মনজুর আহমেদ চক। এজন্য প্রতিদিন রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে তিন কিলোমিটার দূর পাহাড়ের চূড়ায় উঠে পড়েন এই আলোকবর্তিকা। 

মনজুর আহমেদের এই সংগ্রামে শিক্ষার্থীরাও প্রিয় শিক্ষকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে যাচ্ছে সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশায়। যে যেখানে পারেন একটু ভালো সংযোগ পেলেই দৈনিক শিক্ষা কার্যক্রম ডাউনলোডে বসে পড়ে। তিনি বলেন, ‘এই পরিশ্রম শুধু আমাদের শিক্ষার্থীদের আগামী ভ্যবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই। আমার শিক্ষার্থীরাও এই লড়াইয়ের অংশ।’

পাহাড়ে উঠে অনলাইন ক্লাস!

এক শিক্ষার্থীরা বাবা জানান, আমাদের গ্রামের পাশেই জঙ্গল। সেখানে অনেক হিংস্র বন্যপ্রাণী আছে। নেটওয়ার্কের সংযোগ পেতে আমাদের সন্তানদের অনেক জায়গা যেতে হয়। এজন্য আমাদের সব সময় বন্যপ্রাণীর আতঙ্কে থাকতে হয়। এজন্য তাদের একা ছাড়ি না’।

২০০৭ সাল থেকে শিক্ষকতা করছেন মনজুর। তিনি বলেন, 'করোনার সংক্রমণের কারণে স্কুল পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই কারণে শিক্ষার্থীরা মাঝে মধ্যে বাড়ি ছুটে আসে। স্কুল খোলা থাকায় অবস্থায় আমি তাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছি। এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পাস করে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার জন্য শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়'।

অন্য রাজ্যে পড়তে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় গ্রামের শিক্ষার্থীদের। হরিয়ানার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব হাফিজ বলেন, প্রথম দিকে এখান থেকে চলে যাওয়া পর সহপাঠীদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হয়েছিল। বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রযুক্তিগত জ্ঞান না থাকায় এখানে মানিয়ে নিতে আমাকে অন্যদের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে। কারণ গ্রামে আমাদের জন্য সেখানকার প্রযুক্তি সরঞ্জামের কোনও সুযোগ ছিল না’।

হাফিজ আরও জানান, বারামুল্লাহ থাকা অবস্থায় ইন্টারেনেটে পরীক্ষার অংশ নেওয়ার জন্য একটি রুম ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানে চারদিনে থাকার জন্য ২ হাজার রুপি দেওয়া লাগে। আর এই খরচ তার জন্য অনেক বেশি ছিল বলেও মনে করেন হাফিজ।

ইন্টারনেট না থাকায় শুধু যে শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ছেন তা নয়, গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অনেক বাসিন্দা জানান, কোভিড টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেট তারা তুলতে পারছেন না।

বারামুল্লা'র উপ-কমিশনার বহুপিনদার কুমার জানান, লিম্বার এলাকার বাসিন্দারা এ বিষয়ে তাকে আগে জানায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

/এলকে/
সম্পর্কিত
ভারতে দ্বিতীয় দফায় ভোটপ্রচণ্ড গরমেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার, ভোটদানের হার ৬১ শতাংশ
ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন হবে না: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
কেমন চলছে ভারতের লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট?
সর্বশেষ খবর
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!