‘বাসেই বসে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ, বিস্ফোরণ। একটু পর দেখি ভাঙা গ্লাসের বিভিন্ন অংশ লেগে শরীর কেটে-ছিঁড়ে গেছে। আশপাশের অনেকেই রক্তাক্ত। মনে হলো মুহূর্তের মধ্যে কোনও ধ্বংসযজ্ঞ নেমে এসেছে’—কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর মগবাজার প্লাজার পাশের ভবনের বিস্ফোরণে আহত শিক্ষার্থী শাহ নেওয়াজ। ঘটনার পর ঢাকা মেডিক্যাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে আবারও ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। সেখানে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে।
৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের রাখিনীড় নামের ওই তিনতলা ভবনের নিচতলায় ছিল গ্র্যান্ড কনফেকশনারি, বেঙ্গলমিট ও শর্মা হাউজের দোকান। দোতালায় সিঙ্গারের শোরুম ও তিনতলায় রয়েছে অনলাইন নিউজপোর্টাল 'অপরাজেয় বাংলা' এর কার্যালয়। এখন অবশ্য নিচতলায় ধ্বংসস্তূপ ছাড়া কিছুই নেই। দোকানপাট সব ভেঙে তছনছ।
ভবনের বিপরীতে আড়ংয়ের শোরুম। শোরুমের সামনের কাচ ভেঙে সব তছনছ। ঘটনার সময় ভবনের সামনে থাকা বাসগুলোর অবস্থা আরও বেগতিক। শুধু কঙ্কালের মতো কিছু অংশ ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
মক্কা পরিবহন বাসের মালিক বাবুল জানান, বিস্ফোরণের পরপরই চালক ফোন দেওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। তার গাড়ি একেবারে ভেঙে চুরমার। চালক ও সহকারী সবাই আহত। বাসটাও সেখানেই কঙ্কালসার অবস্থায় পড়ে আছে।
ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, পুলিশ, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা। কেন বিস্ফোরণ হয়েছে বলা যাচ্ছে না। তবে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে বিস্ফোরক ছিল কিনা খতিয়ে দেখছি।