টানা তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসভাগ্য হাসলো জিম্বাবুয়ের। দ্বিতীয় ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচেও আগ্রাসী সূচনায় শুরু করে স্বাগতিকরা। সেই ওয়েসলে মেধেভেরের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে উঠে গেছে ৬৩ রান! ষষ্ঠ ওভারে আরেক আগ্রাসী ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে ফেরালেও স্কোরবোর্ড দ্রুত সমৃদ্ধ করে ফিরেছেন রেজিস চাকাভা। নতুন নামা সিকান্দার রাজা ফিরলে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩২ রান। ক্রিজে আছেন মেধেভেরে (৪৭) ও মায়ার্স(৪)।
টস জিতে আগ্রাসী ভঙ্গিতে শুরু করা জিম্বাবুয়ে সবচেয়ে বেশি কাঁদিয়েছে তাসকিন আহমেদকে। চতুর্থ ওভারে তার ৫ বলেই চার মেরেছেন মেধেভেরে। আসে ৩০ রান। এর পর ষষ্ঠ ওভারে মারুমানির স্টাম্প উপড়ে ফেলেন সাইফউদ্দিন। বিদায় নেওয়ার আগে একই ওভারে সাইফউদ্দিনকে ছক্কা মেরেছেন মারুমানি। তিনি ২০ বলে ২টি চার ও ২টি ছয়ে ফেরেন ২৭ রানে। এর পরেও রান চাকা ছুটে চলে দ্রুত গতিতে।
বিশেষ করে মেধেভেরের সঙ্গে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এর পর যোগ দেন চাকাভা। নাসুম আহমেদের ঘূর্ণি বলে এক ওভারেই মারেন তিন ছক্কা। এই ওভারে আসে ২১টি রান। পরের ওভারে সৌম্যর বলে আবারও উঠিয়ে মেরেছিলেন চাকাভা। এবার অবশ্য ওভার বাউন্ডারি হয়নি। তার আগেই দর্শনীয় ‘যৌথ এক ক্যাচে’ ফিরেছেন তিনি। শুরুতে ডিপ মিডউইকেটে তার ক্যাচ নিয়ে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যান নাঈম। ভারসাম্য রাখতে না পেরে ততক্ষণে অবশ্য ভেতরের দিকে বল ভাসিয়ে দেন, যাতে পেছনে থাকা শামীম সেটি নিতে পারেন। শামীম ক্যাচ নেওয়াতেই ২২ বলে ৪৮ রানে ফিরে যেতে হয় চাকাভাকে। তার ইনিংসে ছিল ৬টি ছয়।
একই ওভারের পঞ্চম বলে কোনও ফুটওয়ার্ক না করেই লেগ সাইডে ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রাজা। তিনি ফেরেন শূন্য রানে।
দ্বিতীয় ম্যাচটি জিম্বাবুয়ে ২৩ রানে জিতে নেওয়ায় শেষ ও তৃতীয় এই টি-টোয়েন্টিটি সিরিজ নির্ধারণী।