বান্দরবানের রুমা উপজেলায় রাস্তা ছাড়াই চার কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি পরিদর্শন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তদন্ত কমিটি।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সেতুটি পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান, এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুন্নবী ও বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. লুৎফুর রহমান।
সকালে রুমার মুখ এলাকার সেতুটি পরিদর্শন করেন তারা। এরপর দুপুরে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গত ৪ আগস্ট ‘রাস্তা ছাড়াই পাহাড়ে ৪ কোটি টাকার সেতু’ শিরোনামে রুমা সদর ইউনিয়নের রুমা মুখ থেকে গ্যালাঙ্গিয়া ইউনিয়নের ওই সেতুটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলা ট্রিবিউন। তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনের বান্দরবান প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলামের (টিটু) কাছে জানতে চান। তিনি তদন্ত কমিটিকে জানান, চার কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু রাস্তা না থাকাই পাহাড়ি জনপদের কোনও কাজে আসছে না। এলাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।
রুমার ৩৫৩ নং কলাদিয়া মৌজার হেডম্যান সুই চিং উই মারমা বলেন, আমার এলাকার প্রায় তিন শতাধিক পরিবার পাহাড়ের ভেতরের জঙ্গল দিয়ে বহু কষ্টে হেঁটে রুমা সদরে আসে। সেতুর ওপারে রাস্তাটি বেশি প্রয়োজন। রাস্তা হলে এলাকার জনসাধারণ অনেক উপকৃত হবে।
বান্দরবান এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুস শাহাদাৎ মো. জিললুর রহমান বলেন, সেতুটি করার আগেই আমরা ২২ কিলোমিটার রাস্তার ম্যাপ করে রেখেছি। যেহেতু বড় একটি খাল রয়েছে, তাই ওপারে মালামাল পাঠানোর সুবিধার্থে আগে সেতুটি নির্মাণ করেছি। শিগগিরই ১২০০ মিটার কাজের জন্য টেন্ডার দেওয়া হবে। টেন্ডারের পরপরই আমরা সেতুর ওপারে রাস্তার কাজ শুরু করবো। তবে পাহাড়টি না কেটে পাশ দিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে এ রাস্তাটি করা হবে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, শিগগিরই যেন সেতুটি সাধারণ মানুষের কাজে আসে সেজন্য পাহাড় না কেটে পাশ ঘেঁষে সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এ সময় বান্দরবান এলজিইডির সিনিয়র প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন ও রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ামিন হোসেনসহ ঊধ্বর্তন কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।