২০১৫ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেছিল পাকিস্তান। দীর্ঘ বিরতির পর আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশে আসছে বাবর আজমের দল। ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে আগেই সিরিজটি নির্ধারিত ছিল। তারপরও যেহেতু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দুই বোর্ডের সমঝোতার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। তাই দুই বোর্ডই আগামী নভেম্বরে সিরিজের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। সফরে বাংলাদেশ দল তিন সংস্করণেই ম্যাচ খেলবে।
৬ বছর পর পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান সিরিজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই। এ ব্যাপারে ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। সব ফরম্যাটেই খেলা থাকবে, ওয়ানডে ও টেস্ট বেশি থাকবে।'
আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শেষ হবে ১৪ নভেম্বর। বিশ্বকাপ শেষে হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ সফর করবে পাকিস্তান। আগামী কয়েক সপ্তাহরে মধ্যে সফর সূচি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। শুধু পাকিস্তান সফরই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের সফরসূচি নিয়েও বোর্ডগুলোর মাঝে আলোচনা চলছে।
এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। পাকিস্তান সফরের পরপরই আমাদের নিউজিল্যান্ড সফর আছে। খুব ব্যস্ত সূচি। সেভাবেই ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ বোর্ডগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে।'
করোনার সময়টাতে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেভাবে কোভিড প্রটোকল মেনে সিরিজ হয়েছে, পাকিস্তান সিরিজেও সেটিই বজায় থাকবে বলে জানালেন সুজন, ‘আমরা যে মান ঠিক করেছি, সেই অনুযায়ীই আমাদের প্রটোকল ও জৈব সুরক্ষা বলয় হবে। আমাদের যে গাইডলাইন, সেটি সফরকারী দলকে অবহিত করা হবে।’