খুলনার কয়রার বাগালী ইউনিয়নের একটি পুকুর থেকে বাবা-মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত হাবিবের মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও পাঁচ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আর তিনটি ক্লু নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুকুরে বাবা-মা-মেয়ের লাশ: পুলিশ হেফাজতে ৪ জনকয়রা থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম জানান, জুয়া খেলার ঘটনায় রবিউল, তক্ষক ধরা চক্রের খালেক ও মশিউরসহ পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর নিহত হাবিবের মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এতে কোনও আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। তদন্ত চলছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে বেশ কিছু ক্লু নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত এগোচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগের চার জনসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহত হাবিবুল্লাহর চাচাতো ভাই সাইফুল্লাহ টুকু বলেন, প্রতিবেশী নারী ও স্থানীয় এক যুবকের গোপন সম্পর্কের বিষয় নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় তিন মাস আগের ঘটনায় হাবিব জিডি করেছিল। সে সূত্র ধরে পুলিশ ওই নারী ও যুবককে থানায় নেয়। আরও দু’জনকে থানায় নেওয়া হয় জুয়া খেলার ঘটনায় সাক্ষী হওয়ার কারণে। আর খালেক ও মশিউরকে থানায় নেওয়া হয়েছে তক্ষক ধরা চক্রের সদস্য হিসেবে। কারণ ছয় বছর আগে হাবিব খুলনার সোনাডাঙায় ছয়টি তক্ষকসহ আটক হয়েছিল।
উল্লেখ, ২৬ অক্টোবর সকালে বাগালীর একটি পুকুর থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুকুরের পাশে থাকা ঘরেই বাবা হাবিব ও মেয়ে টুনিকে কুপিয়ে ও তার স্ত্রী বিউটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ঘটনা আড়াল করতে লাশ পুকুরে ফেলা হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।