মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহন নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরি শাহ আমানত আশির দশকে নির্মিত। ফেরির মাস্টার শরিফুল ইসলাম লিটন জানান, চার মাস আগে ফেরিটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মেরামত শেষে পাটুরিয়ায় আসে। তবে সম্প্রতি তলদেশে একটি ফুটো তৈরি হয়।
তিনি আরও জানান, ফেরিটি বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ও ১৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে পাটুরিয়া অভিমুখে রওনা দেয়। এর কিছু সময় পর তলদেশের ফুটো দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। কিন্তু তিনি যখন বিষয়টি টের পান তখন আর কিছু করার ছিল না।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মেরিন আব্দুস সাত্তার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ফেরিটির সার্ভে সনদও হালনাগাদ ছিল না।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পর এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। ফেরি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ তৎপরতা শুরু করেছে। তবে ফেরি শাহ আমানতের যে ওজন তাতে কোনও কূল-কিনারা পাবে না উদ্ধারকারী জাহাজটি। ডুবে যাওয়া ফেরির মোট ওজন ৪০০ টন। কিন্তু হামজার উদ্ধার সক্ষমতা মাত্র ৬০ টন।
পাটুরিয়ায় ১৭ ট্রাক নিয়ে ফেরিডুবি
প্রত্যক্ষদর্শী গাড়িচালকরা বলেন, সকাল পৌনে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের ৫ নম্বর পন্টুনে ফেরিটি ডুবতে শুরু করে। ফেরিতে থাকা ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাকের মধ্যে মাত্র তিনটি নামতে পারে। বাকি ১৪টি পণ্যবাহী ট্রাক ও মোটরসাইকেলসহ ফেরিটি পদ্মায় ডুবে যায়। যানবাহনের চালক ও সহকারীসহ অন্যরা সাঁতরে তীরে ওঠেন।
ফেরিতে থাকা কেমিক্যাল বহনকারী এক কার্ভাডভ্যানের চালক মো. সেলিম হোসেন জানান, তার গাড়িটি নামার শেষ মুহূর্তে ফেরিটি ডুবে যায়। গাড়ির দুই চাকা ছিল পন্টুনে, আর বাকি চাকাগুলো ছিল ফেরিতে। এই সময় ফেরিটি ডুবে যায়।
সুশান্ত নামে এক ট্রাকচালক বলেন, তার গাড়িটি ওই ফেরিতে ছিল। বেনাপোল থেকে নিউজপ্রিন্ট নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। চোখের সামনে ফেরিটি ডুবে যায়।