চীনের নতুন স্থল সীমান্ত আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নতুন আইন প্রণয়নের বিষয়ে চীনের একতরফা সিদ্ধান্ত বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় প্রভাব ফেলতে পারে। সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে যা আমাদের উদ্বেগের কারণ।’
২৩ অক্টোবর চীনের ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি নতুন স্থল সীমান্ত আইন অনুমোদন দিয়েছে। বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার উদ্দেশ্যে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ওই নতুন আইন কার্যকর হবে।
নতুন আইন অনুযায়ী চীনের স্থল সীমান্তের নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকর এমন কোনও পদক্ষেপের ইঙ্গিত পেলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে পথে হাঁটবে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পরিকাঠামো, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সীমান্ত সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের নির্দেশিকা রয়েছে ওই আইনে।
ভারত, ভূটানসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চূড়ান্ত হয়নি চীনের। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় চীনা বাহিনীর আগ্রাসী আচরণের স্মৃতি এখনও ভারতীয়দের মনে টাটকা। এই পরিস্থিতিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বের নতু পদক্ষেপের ‘লক্ষ্য’ নয়াদিল্লি বলেই মনে করছেন ভারতের সামরিক বিশ্লেষক এবং কূটনীতিবিদদের একাংশ।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে একাধিক দিপাক্ষিক চুক্তি প্রোটোকল এবং ব্যবস্থাপনা হয়েছে। নয়াদিল্লির আশা, বেইজিংয়ের নতু আইন প্রণয়নের একতরফা পদক্ষেপ সেগুলোর পরিপন্থী হয়ে উঠবে না। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা