মানিকগঞ্জে বিশেষ কোটায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী এক হাজার ৭৪ শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (০১ নভেম্বর) পৌর এলাকার সরকারি এসকে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ টিকা দেওয়া হয়।
জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লুৎফর রহমান বলেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা জাহান উপস্থিত ছিলেন।
ওসব শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়েছেন আট স্বাস্থ্যকর্মী। সকালে শিক্ষার্থীরা জন্মনিবন্ধন কার্ড সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে এলে টিকা দেওয়া হয়।
এদিকে, রবিবার বিকাল থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের সুরক্ষা অ্যাপের সার্ভার কাজ না করায় জেলার কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি। বিষয়টি জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. লুৎফর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলায় শিক্ষা বিভাগ সার্ভারের জটিলতার কারণে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
গত ১৪ অক্টোবর কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে ১১২ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়।
ডা. লুৎফর রহমান বলেন, প্রথমে টিকা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসায় ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। স্বাস্থ্যকর্মীরা রুটিন করে ওসব শিক্ষার্থীকে বাসায় গিয়ে মনিটরিং করেছেন। ১৪ দিনে টিকাগ্রহণকারী কোনও শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়নি। টিকা প্রয়োগ শতভাগ সফল হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা জাহান বলেন, সদর উপজেলার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি এসকে বালিকা বিদ্যালয়, গড়পাড়া জাহিদ মালেক উচ্চ বিদ্যালয় এবং আটিগ্রাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১২ শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছিল। তাদের কেউ অসুস্থ হয়নি। আজ ১০৭৪ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।