বর্ণিল সাজে সেজেছে বাংলাবাজার ঘাট

আগামী শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন ঘিরে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজেছে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট। পদ্মা সেতুর আদলে প্রস্তুত করা হয়েছে জনসভা মঞ্চ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘাট এলাকায় দেখা গেছে, বাংলাবাজার লঞ্চঘাট থেকে শুরু করে ফেরিঘাট ও জনসভাস্থলের মঞ্চ পেরিয়ে পুরো এলাকা রঙিন আলোয় সজ্জিত করা হয়েছে। জনসভা ঘিরে লাল-নীল বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে ঘাটের আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে তোরণ ও বিলবোর্ড।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার দুইপাশ, ঘাটের টার্মিনাল, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর অফিস, বিভিন্ন দোকান, বাস কাউন্টার ও লঞ্চে বাতি লাগানো হয়েছে। এছাড়া পিকআপে তোরণ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মঞ্চস্থল থেকে ভেসে আসছে দেশাত্মবোধক গান। সবার মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।

এর আগে সন্ধ্যার পর আলো জ্বলে উঠলে ঘাট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ। এ সময় ঘাট এলাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীদের মঞ্চ ও আশপাশের ঘুরতে দেখা গেছে।

আলোকসজ্জার কাজে নিয়োজিত কর্মী মো. শাহআলম বলেন, গত ২০ দিন ধরে আমরা আলোকসজ্জার কাজ শুরু করছি। এখন কাজ প্রায় শেষ। যা বাকি আছে শুক্রবারের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

ঘাটের পাশের চায়ের দোকানি মকবুল হাওলাদার বলেন, গত এক মাস ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় কেউ এ ঘাটে আসেনি। গত কয়েকদিন ধরে লাল-নীল আলোয় আলোকিত হয় ঘাট এলাকা। অনেক মানুষের সমাগম। বেচাকেনা ভালোই চলছে।

ঘাট এলাকায় ঘুরতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে শনিবার। উৎসবের আমেজ বইছে। তাই দেখতে এলাম। উদ্বোধনের দিন তো এই এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না, তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে আগেভাগেই চলে এলাম।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে জেলার ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আলাদা পরিবহন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এ যাত্রা শুরু হবে। এখানে জেলার ৫টি উপজেলা থেকে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে মাদারীপুরবাসী প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুরের শিবচরে আসবেন। জনসভায় ভাষণ দেবেন। তার আগমন ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীরা ও মাদারীপুরের সাধারণ জনগণের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। আমরা ধারণা করছি, ১০ লাখের বেশি মানুষের জমায়েত হবে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব শ্রেণির মানুষের যাতায়াতের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ঘাট এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা পুলিশ ফোর্সকে ইতোমধ্য দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছি।এসএসএফের সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্ট করছি আমরা। আশা করছি, কোনও ধরনের সমস্যা হবে না।