রাজধানী থেকে পদ্মা সেতুতে যাবেন যেভাবে

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার খুলছে ২৫ জুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করবেন দক্ষিণ বঙ্গের অর্থনীতির এই নতুন করিডোর। পদ্মা সেতুকে ঘিরে ইতোমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা শুরু হয়েছে। তৈরি হয়েছে পদ্মা সেতুকে কাছে থেকে দেখার আকুলতা। তাই জেনে নেওয়া ভালো কীভাবে মিলবে পদ্মা সেতুর দর্শন।

রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরে মাওয়া ঘাটের কাছে গিয়ে পদ্মা সেতু দেখে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায়। ঢাকাবাসীর জন্য হতে পারে পদ্মা সেতু একটি আদর্শ ভ্রমণস্পট। যেই ট্যুরে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যাবে। পদ্মা সেতু দেখতে চারটি উপায়ে বাসে করেই যেতে পারেন মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত।

গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার থেকে মাওয়াগামী ইলিশ বাস ছাড়ে এবং ফুলবাড়ীয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে বিআরটিসি এসি বাসে করেও যেতে পারেন পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে। আবার ঢাকার যেকোনও প্রান্ত থেকে যাত্রাবাড়ী বাস স্ট্যান্ডে এসে এসি কিংবা নন এসি বাসে করে যেতে পারেন সেতু দেখতে। যারা উত্তরা থেকে যাবেন তাদের জন্যও আছে বাসের ব্যবস্থা, একই ব্যবস্থা আছে গাবতলী থেকেও।

পদ্মা সেতুকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল এটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সাধারণভাবে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। আর ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে সময় লাগবে ২৭ মিনিট। যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া রোডে উঠে এই এক্সপ্রেসওয়ে সোজা নিয়ে যাবে পদ্মা সেতুর দ্বারে।

সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।  এই সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত। একইসঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে এ সেতুতে। চার লেন বিশিষ্ট ৭২ ফুট প্রস্থের এ সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেল লাইন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। আগামী বছর রেল চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর পাইলিং ও নদী শাসনের কাজ উদ্বোধন করেন। এরপর একে একে সব ধাপ পেরিয়ে পদ্মার বুকে ৪২টি পিলারের ওপর দৃশ্যমান হয়ে ওঠে স্বপ্নের সেতু। এ সেতু চালু হলে বাংলাদেশের জিডিপি ১.২ থেকে ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।