সাত লঞ্চে সেতুর পথে বরগুনার ১০ হাজার আ.লীগ নেতাকর্মী

রাত পোহালেই উদ্বোধন হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ইতিহাসের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে দক্ষিণের জেলা বরগুনা থেকে নৌপথ এবং সড়কপথে বিভিন্ন বাহনে পদ্মা পাড়ে ছুটছেন মানুষ। জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বরগুনা থেকে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নেতাকর্মীরা রওনা দিয়েছেন। জেলার ছয় উপজেলা থেকে সাতটি লঞ্চে দশ হাজারের বেশি নেতাকর্মী স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

বরগুনা সদর উপজেলার পুরাকাটা থেকে এমভি ইয়াদ, আমতলী লঞ্চঘাট থেকে এমভি তরঙ্গ, তালতলী উপজেলা থেকে এমভি সুন্দরবন-৭, পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া লঞ্চঘাট, বামনা উপজেলার বামনা লঞ্চঘাট এবং বেতাগী উপজেলার বেতাগী লঞ্চঘাট থেকে একটি করে মোট সাতটি লঞ্চে নেতাকর্মীরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পদ্মা সেতু অভিমুখে রয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের বহু বছরের অপেক্ষার অবসান হতে চলছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সেতু নির্মাণ করেছেন। ঐতিহাসিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছি, আমি খুবই আনন্দিত।’

জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বরগুনা জেলা থেকে সাতটি লঞ্চে ১০ হাজার নেতাকর্মী স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন। আল্লাহর রহমত থাকলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগামীকাল আমরা সবাই যোগ দেবো।’

বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ। শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, গোটা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল করবে এই সেতু। বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্য, কৃষি ও পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বরগুনা হবে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন। তাই বরগুনাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ইতিহাসের সাক্ষী হতে পদ্মা সেতু উদ্বোধনস্থলে যাচ্ছেন।’