পদ্মা সেতুর গর্বিত অংশীদার কেএসআরএম ও বিএসআরএম

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দুয়ার খুলছে শনিবার (২৫ জুন)। এ সেতু নির্মাণে দেশের বৃহত্তম দুই রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম এবং বিএসআরএম-এর রড ব্যবহার হয়েছে। এ সেতুতে দেশীয় দুই  প্রতিষ্ঠানের রড ব্যবহার হওয়ায় গর্বিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। 

কেএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পদ্মা সেতুতে দেশীয় শুধুমাত্র দুটি কোম্পানির রড ব্যবহার হয়েছে। সেই হিসেবে কেএসআরএম দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। কেএসআরএম হচ্ছে সর্বপ্রথম রড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গর্ব ও অহংকারের বিষয়।

আর এসবের মূল কারণ হলো- মান নিয়ন্ত্রণে আমরা আপসহীন। কেএসআরএম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করেই রড তৈরি করে। পদ্ম সেতুতে রড সরবরাহের কার্যাদেশ আমাদের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসকে আরও সুসংহত ও দৃঢ় করেছে। উদ্যোক্তা হিসেবে আমাদেরও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।

আমাদের জানা মতে, দেশের আরও অনেক ইস্পাত নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গৌরবের পদ্মা সেতুতে রড সরবরাহের আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে পদ্মা সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষের শর্ত ও মান রক্ষা করতে পারেনি অনেকেই। তবে অনেক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুতে রড সরবরাহে একমাত্র শর্তহীন অনুমোদন পেয়েছে কেএসআরএম। দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্পে রড সরবরাহ কেএসআরএমের জন্য অনেক বড় অর্জন। এ যেন পদ্মা সেতুর অস্থিত্বে কেএসআরএমের অংশীদারিত্ব। 

অপরদিকে বিএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সেতুর মূল কাঠামোতে ব্যবহৃত স্টিলের ৯৫ ভাগই বিএসআরএম সরবরাহ করেছে। সেতুতে ৫০ মিলি রডের প্রয়োজনীয়তা ছিল প্রায় ১১৩০ টন। এরমধ্যে আমাদের অবদান ছিল ১০০০ টন।

পদ্মা সেতু শুধু নদীর দুই তীরকেই যুক্ত করেনি, বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে অনেক দেশের সঙ্গে। পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে নিজেদের আত্মমর্যাদা প্রকাশ পেয়েছে।

পদ্মা সেতু নির্মাণের একটি বড় অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। পাশাপাশি দেশের এই সাফল্য অর্জনে আমাদের পাশে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার, কনসালট্যান্ট, ঠিকাদার, স্টেকহোল্ডার এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।