বহুল আকাঙ্ক্ষার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণ শেষ হচ্ছে শনিবার (২৫ জুন) সকালে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে উৎসবের জনপদে পরিণত হয়েছে পুরো জেলা। জনসভায় অংশ নিচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ। এরই মধ্যে শরীয়তপুর থেকে ২০টি লঞ্চ ও ৩০০ ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে জনসভার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
ডামুড্যা থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় ও সখিপুর এবং নড়িয়া থেকে রাত ২টায় লঞ্চ এবং ট্রলারগুলো জনসভার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চ ও ট্রলারগুলো শনিবার ভোরে শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে গিয়ে থামবে। নেতাকর্মীদের সার্বিক নির্দেশ দিয়েছেন শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক শামীম এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। সংসদ সদস্য এনামুল হক শামীম জানিয়েছেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দেবেন শরীয়তপুরের দুই লক্ষাধিক মানুষ।
এদিকে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সেজেছে জেলার ছয় উপজেলা। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে চারপাশ। সর্বত্র উৎসবের আমেজ। পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঝলমলে বাতি এবং রঙিন পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বলছেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবর সর্বস্তরে জানান দিতে এমন আয়োজন করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে বলেন, ডামুড্যা থেকে রাত ১২টায়, সখিপুর ও নড়িয়া থেকে রাত আড়াইটায় ২০টি লঞ্চ ও ৩০০ ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে জনসভার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। লঞ্চ ও ট্রলারে লক্ষাধিক মানুষ রয়েছেন। লঞ্চেই তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারও কোনও ধরনের সমস্যা হবে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যারা সশরীরে যোগ দিতে পারবে না, তাদের জন্য তিন দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলবে। সেতুর উদ্বোধনী দিন স্মরণে রাখার মতো উৎসব করা হবে। ওই দিন জেলা শহরে সকাল ৯টায় র্যালি বের করা হবে। ট্রাকে ঘুরে বাউল শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন। সন্ধ্যায় জেলা স্টিডিয়ামে আতশবাজি প্রদর্শন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।