পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টা ৫৯ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি খুলে দেওয়া হলো। রবিবার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল করবে।

ফলক উন্মোচনের পর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবাইকে আলোড়িত করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত সবাই তার সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। ফলক উন্মোচনের পর শেখ হাসিনা তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের সঙ্গে ছবি তোলেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। 

ফলক উন্মোচনের আগে মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী। মেনাজাত পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়িবহর সেতুর মূল অংশে প্রবেশ করে। সেসময় গাড়ি থেকে সেতুতে নামেন প্রধানমন্ত্রী এবং সেতুতে দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর মনোমুগ্ধকর আকাশ পথের মহড়া উপভোগ করেন। এরপর পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে যান। সেখানেও মেনাজাত পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। পরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় অন্যদের মধ্যে তার সঙ্গে ছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী ও সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টা পাঁচ মিনিটে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৯টায় অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসন গ্রহণ করেন। প্রায় সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে মাওয়া প্রান্তের সুধী সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেতুর টোল প্লাজার কিছুটা আগে এক পাশে অস্থায়ী প্যান্ডেলে আয়োজন করা হয় সমাবেশের। এতে সভাপতিত্ব করেন সেতুমন্ত্রী।

সমাবেশে বক্তব্য শেষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম, সিলমোহর ও ১০০ টাকার স্মারক নোট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।