কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন

নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠ করেন বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং কাউন্সেলর (কনস্যুলার) মো. বশির উদ্দিন।

পদ্মা সেতুর ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পর বাংলাদেশ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি উপস্থিত দর্শকদের জন্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

উপ-হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা পাওয়া শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার, সাংবাদিক ও কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শ্রীস্নেহশীষ সুর, চলচ্চিত্র পরিচালক ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি শ্রী গৌতম ঘোষ।

অনুষ্ঠানে সমাপনী  বক্তব্য রাখেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।

অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে অতিথিরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় উচ্চতর মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

সমাপনী বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার পদ্মা সেতুর সফল নির্মাণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের চলমান অন্যান্য মেগা প্রকল্পগুলোর কথাও তুলে ধরেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় সংকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে উপ-হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর আন্তরিক সহায়তা কামনা করেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে এবং পৌর কর্পোরেশনের সৌজন্যে কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে ২৪ জুন থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সংক্রান্ত ছবি ও তথ্য প্রদর্শন করা হয়।

ব্যাপক প্রচারণার কারণে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের জনগণের পদ্মা সেতু সম্পর্কে যথেষ্ট আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তারা এই ঐতিহাসিক অর্জনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশিদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন।