‘ফেরির অপেক্ষায় থেকে অনেক রোগী গাড়িতেই মারা যেতো’

‘এতদিন ফেরির অপেক্ষায় থেকে অনেক রোগী গাড়িতে মারা যেতো। সেতু চালু হওয়ায় আর ফেরির জন্য কোনও রোগী মারা যাবে না গাড়িতে। গাড়িতে রোগী মারা গেলে আমাদের অনেক মন খারাপ হয়ে যায়। এখন নদী পার হবো দ্রুত। থাকবে না ঘাটের বিড়ম্বনা।’ পদ্মা সেতুতে ওঠার সময় কথাগুলো বলেছিলেন বরিশাল থেকে রোগী নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স চালক রফিক খান।

রবিবার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত এ স্থাপনার ওপর দিয়ে। শনিবার পদ্মা সেতুর দুয়ার খোলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সকালে পদ্মা সেতু এলাকায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল দিয়ে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পদ্মা পার হচ্ছে।

আরেক অ্যাম্বুলেন্স চালক ফজলু সরদার বলেন, ‘আগে ঘাটে ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগতো। অনেক সময় রোগী মারা যেত। সেতু চালু হওয়ায় এখন দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো। এ জন্য আমরা অনেক খুশি।’

লাশবাহী গাড়ির চালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘২৩ বছর ধরে লাশবাহী গাড়ি চালাই। ঘাটে ফেরির জন্য ঘণ্টার পর বসে থাকতাম। এখন আর বসে থাকতে হবে না। মনের আশা পূরণ হয়েছে।’