রেমিট্যান্সের খরচ কমাতে চায় সরকার


রেমিট্যান্সঅভিভাসন প্রক্রিয়াকে আরও ফলপ্রসূ করার জন্য এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিভাবে রেমিট্যান্সকে ব্যবহার করা যায় তার পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বড় অংশ এবং এটি দেশের একটি বড় অংশের জনসংখ্যার সরাসরি জীবন জীবিকার সঙ্গে জড়িত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই রেমিট্যান্স দেশে পাঠানোর খরচ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ, যা মধ্যস্বত্বভোগীরা নিয়ে যায়।
আমরা এই খরচ ৩ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে চাই এবং বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এটি করতে হবে।
কর্মকর্তাটি আরও বলেন, এর জন্য রেগুলেটরি কাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন, যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, এর জন্য প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যিনি টাকা পাঠাচ্ছেন এবং যিনি টাকা গ্রহণ করছেন, উভয়ের স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে টাকা পাঠানো এবং গ্রহণ করার জন্য তাদের কি পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে কিছু লুকানো খরচ থাকে যার তথ্য রেমিট্যান্স সেবাপ্রদানকারীরা আগে দেন না, ফলে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বেড়ে যায়।

কর্মকর্তাটি বলেন, রেগুলেটরি ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ। রেমিট্যান্স গ্রহণ ও প্রেরণকারী দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা হতে পারে, যাতে করে রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ হয়।

এছাড়া আর্থিক ও অআর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে কী করে রেমিট্যান্স সহজভাবে পাঠানো যায়, সেটি খুঁজে বের করতে হবে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন এনজিও-এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় এবং এর ফলে দ্রুত এবং অল্প খরচে রেমিট্যান্স পাঠানো সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন: খাদ্য মন্ত্রণালয় শর্ত কঠিন, তাই গম আমদানি হচ্ছে না

এসএসজেড/ এপিএইচ/