সূত্র জানায়, অষ্টম পে-স্কেলের কাঠামো অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সপ্তম পে-স্কেলে সরকারের ব্যয় দাঁড়িয়েছিল ৪৪ হাজার কোটি টাকা। সপ্তম পে-স্কেল সরকার তিন ধাপে বাস্তবায়ন করলেও সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ৮ম পে-স্কেল বাস্তবায়িত হচ্ছে দুই ধাপে। এটি বাস্তবায়নে সরকারের বাড়তি ২৪ হাজার কোটি টাকা লাগলেও সরকার এ বছর এ খাতে বরাদ্দ রাখছে ১০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ১৪ হাজার কোটি টাকা সরকার অন্য খাত থেকে নিয়ে প্রয়োজন মেটাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ।
কয়েক ধাপে নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়ন সম্পর্কে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, এক সঙ্গে পে-স্কেল বাস্তবায়ন করলে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়বে। মূল্যস্ফীতি এড়াতেই এ কৌশল নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: শতভাগ মুক্তিযোদ্ধারই সম্মানী ভাতা বাড়ছে
আন্তর্জাতিক বাজারের পণ্যমূল্য সম্পর্কে তথ্য জানিয়ে অর্থ সচিব বলেন, বাংলাদেশে আমদানির ৮০ ভাগ পণ্যই আসে পাশের দেশ ভারত ও চীন থেকে। ভারত ও চীনে মূল্যস্ফীতি সেদেশের সরকার নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কম থাকায় বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই থাকবে দেশের মূল্যস্ফীতি। এসব কারণেই সরকার নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে দু’টির বেশি ধাপ রাখেনি।
আরও পড়ুন: সহিংসতা ঠেকাতে পারেনি ইসি, পঞ্চম ধাপে নিহত ১০
/এসআই / এমএসএম /আপ-এপিএইচ/