রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দফতরগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যে গণরায় হয়েছে তাতে আমাদের সামনে নতুন পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব ব্যাপারেও আমাদের অনেক করণীয় আছে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। আমরা আন্তর্জাতিক বিশ্বে যে পণ্য রফতানি করি তার ৫৪ শতাংশ, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি করি। অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকি।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের রফতানির তৃতীয় গন্তব্যস্থান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম, জার্মানি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় যুক্তরাজ্য। নতুন সিদ্ধান্তের কারণে আমাদেরও কোনও কোনও ক্ষেত্রে নতুন করে রি-নেগোসিয়েশন, আবারও আলোচনা করতে হতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ইউরোর মান কমেছে। রফতানি করে যেটা ১১৮ টাকা পেতাম সেটা এখন ৭০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারের ব্যবসায়ীদের তিন ট্রিলিয়নের ডলার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তোফায়েল আহমেদ।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি এখন থেকে কাজ শুরু করি, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কমিটি করবো যে আমাদের কীভাবে এগোতে হবে। সেই কমিটি পদক্ষেপ নেবে।
/এসএনএইচ/