ওয়ালটন সূত্র মতে, ২০১৬ সালের শুরু থেকেই অভ্যন্তরীণ বাজারে ওয়ালটনের সব পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে, ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, মোবাইলফোনসহ ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রি বেড়েছে বহুগুণ।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে যুক্ত হয়েছে ‘ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার’ প্রযুক্তির কম্প্রেসার। ফলে ওয়ালটনের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ অভ্যন্তরীণ বাজারে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। গ্রাহকের হাতের নাগালে প্রযুক্তি পণ্য পৌঁছে দিতে বাড়ানো হয়েছে সেলস পয়েন্ট। বেড়েছে লোকবলও। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে সার্ভিস পয়েন্টের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। সার্ভিস সেন্টারে লোকবল বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কারখানায় বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন। বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ।
ওয়ালটন বিপণন বিভাগের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. রায়হান জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে সকল পণ্যের বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের। এসির বিক্রি বেড়েছ প্রায় ১০ শতাংশ। এছাড়াও, টেলিভিশন (কালার লাইন ও এলইডি টিভি) বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। তবে, চলতি বছরে এলইডি টিভি বিক্রিতে প্রায় ২৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ওয়ালটনের, অভ্যন্তরীণ টেলিভিশন বাজারে যা একটি মাইলফলক।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, যেকোন ম্যাচিউরড (পরিপক্ক) প্রতিষ্ঠানের জন্য স্ট্যান্ডার্ড বা সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধির হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। ওয়ালটন প্রায় ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। যা দেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বাজারে ঈর্ষণীয়।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা বলেন, ওয়ালটনের বৈশিষ্ট্য আমাদের প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিক। আশা করি সামনের দিনগুলোতে প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়বে।
/এসএনএইচ/
আরও পড়ুন:
৩৪ কোম্পানির ওষুধ প্রত্যাহারের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডিপ্লোম্যাটিক লাগেজে কালো ডলার, ঘষলেই চকচকে সাদা