এশিয়ায় প্রথম কার্বন ফাইবার টাওয়ার স্থাপন করবে ইডটকো

কার্বন ফাইবার টাওয়ারউদ্ভাবনী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো স্থাপনের অংশ হিসেবে পরিবেশবান্ধব,  কম ওজন, অধিক কার্যকর, প্রতিকূল আবহাওয়ায় উপযোগী ও দীর্ঘস্থায়ী কার্বন ফাইবার টাওয়ার স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে টাওয়ার কোম্পানি ইডটকো। মালয়েশিয়ার পুচংয়ের তামান তাসিক প্রিমায় স্থাপিত গ্রাউন্ড বেজড কার্বন ফাইবার টাওয়ারটি হবে এশিয়া এ ধরনের প্রথম টাওয়ার।

সম্প্রতি কোম্পানিটি এ টাওয়ার স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কার্বন ফাইবার টাওয়ারের প্রধান সুবিধা স্টিলের তৈরি টাওয়ারের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম ওজন। ফলে টাওয়ারের ভিত্তির প্রয়োজনীয়তা অর্ধেকে নামিয়ে আনে এবং ওজনের তুলনায় অধিক শক্তি সরবরাহ করে। এর ছোট ফুটপ্রিন্টেও কম ম্যাটেরিয়ালের প্রয়োজন হয়। সহজে প্রসারণশীল এবং স্টিলের চেয়ে ১০ গুণ উচ্চ দৃঢ়তাসম্পন্ন টাওয়ার অধিক ভার বহনে সক্ষম বলে প্রতিকূল আবহাওয়াতেও উপযোগী (বিশেষ করে বায়ু প্রবাহের সময়)। স্থাপনের সময়ও কম লাগে, কার্বন ফাইবার টাওয়ার স্থাপনে সবমিলিয়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দ্রুত কাজ হয়। সহজে ক্ষয় হয়না বলে স্থায়িত্ব বেশি, যা টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমায়।

ইডটকোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই বৈশিষ্ট্যগুলো টোটাল কস্ট অব ওনারশিপ-টিসিও ২০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। ইডটকোর কার্বন ফাইবার টাওয়ার স্থাপনের অভিজ্ঞতা কাস্টমাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেবে যা কোম্পানির টিসিও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবে।

ইডটকো গ্রুপ সিইও সুরেশ সিধু বলেন, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইডটকো ম্যাটেরিয়াল ও উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে নিরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে। কার্বন ফাইবার টাওয়ার ওজনে হালকা হওয়ায় ভবনের ছাদে সহজেই স্থাপন করা যাবে এ জন্য ছাদের ওপর বাড়তি ওজন নিয়ে উদ্বেগও থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, টেলিযোগাযোগ ইকো-সিস্টেম নিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেশন্স (এমএনও), সরকার, রেগুলেটর, জমির মালিক, গ্রাহক ও সমাজিক উদ্বেগ কমাতে কার্বন ফাইবার টাওয়ার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। আমাদের কার্যক্রম রয়েছে এমন দেশগুলোতে নেটওয়ার্ক অপারেটরদের জন্য এ অবকাঠামোটি এক অনন্য সংযোজন।

ইডটকো এশিয়ার প্রথম আঞ্চলিক টাওয়ার সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, যাদের মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং মায়ানমারে ১৬ হাজারেরও বেশি টাওয়ার রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এই অঞ্চলের যোগাযোগ বিস্তার করতে এবং টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ব্যবহারের কার্যকারিতা বাড়াতে গবেষণা অব্যহত রেখেছে।

/এসএনএইচ/