ওয়ালটনে ইন্টার্ন করার সুযোগ পেলেন তিন শতাধিক প্রকৌশলী

 

শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে অতিথিরাইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট কোর্সের আওতায় ৩ শতাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীকে তিন মাস মেয়াদী হাতে-কলমে কারিগরী শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃপক্ষ।
বুধবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বজরা আর্ট অ্যাডন্ড ডাইন রেস্টুরেন্টে শিক্ষার্থীদের এক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান হয়। কোম্পানিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যাডন্ড এডমিন) এসএম জাহিদ হাসান, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর মাহমুদুল হক, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর নিয়ামুল হক, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এসএম নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই আইএসও সনদ প্রাপ্ত উচ্চমানের সার্ভিস সিস্টেম রয়েছে। ফলে তিনমাসব্যাপী প্রশিক্ষণের আওতায় প্রকৌশলীরা বিশ্বমানের সার্ভিসিং পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হবেন। প্রযুক্তি পণ্যের বিভিন্ন কারিগরী দিক সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করবেন। পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানবেন। সেইসঙ্গে ফ্রিজ, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার, মোবাইল ফোন, হোম-কিচেন-ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন পণ্যের বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ পাবেন। এর মাধ্যমে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা আধুনিক মেশিনারিজ, যন্ত্রপাতি, স্পেয়ার পার্টস, উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হবেন।

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরাপ্রতিবছর আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃপক্ষ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের তিনমাস মেয়াদী ইন্টার্ন প্রোগামে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়। ২০১৪ সালে ১১০ জন ও  ২০১৫ সালে ১৯৪ জন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ইন্টার্ন করেন। চলতি বছর ৫ শতাধিক প্রকৌশলী আবেদন করেন। যাদের মধ্য থেকে ৩২০ জনকে ইন্টার্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকৌশলী সারা দেশে বিস্তৃত ওয়ালটনের ৬২টি পূর্ণাঙ্গ সার্ভিস সেন্টারে হাতে-কলমে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেবেন। এ বছর ৩২০ জনকে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হলেও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে ডাকা হয় ১শ’ জনকে।

অনুষ্ঠানে এসএম জাহিদ হাসান বলেন, ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারগুলোতে রয়েছে বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও দক্ষ প্রশিক্ষক ও প্রকৌশলী। ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ সংশ্লিষ্টদের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলবে, অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। ফলে একদিকে এ খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব দূর হবে, অন্যদিকে বিশ্ব বাজারেও বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, জাপান, জার্মানি ও আমেরিকারমতো দেশগুলো উন্নত বিশ্বে পরিণত হয়েছে শিল্পোন্নয়নের মাধ্যমে। বাংলাদেশকেও উন্নত বিশ্বের তালিকায় নাম লেখাতে হলে অবশ্যই প্রযুক্তি শিল্পে এগিয়ে যেতে হবে। আর ওয়ালটন সেই চেষ্টাই করছে।

অনুষ্ঠানে নরসিংদী পলিটেকনিক থেকে আগত শিক্ষার্থী সোহেল হাসান বলেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকটি। তারমধ্যে ওয়ালটন অন্যতম। ওয়ালটনের মতো দেশ সেরা প্রতিষ্ঠানে হাতে কলমে উচ্চতর প্রশিক্ষন নেওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেদের অনেক ভাগ্যবান মনে করছি।

/এসএনএইচ/