সরকার পাটের সুদিন ফেরাতে সক্ষম হয়েছে: মির্জা আজম

পাট বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সভাবাংলাদেশকে আবারও সোনালী আশেঁর দেশ হিসেবে রূপান্তর করে সরকার পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট  প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। তিনি বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০  সুষ্ঠুভাবে  শতভাগ বাস্তবায়ন করা  হয়েছে । খুব তাড়াতাড়ি আরো ১২টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।  এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটকে কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করেছেন। ’

মঙ্গলবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে পাট বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন ।

এ সময় বস্ত্র ও পাট  মন্ত্রণালয়ে সচিব এম এ কাদের সরকার , বিজেএমসি চেয়ারম্যান  ড. মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব নজরুল আনোয়ার ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়,বাংলাদেশ ব্যাংক, পরিকল্পনা কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং পাট বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পাটজাত পণ্যকে কৃষিপণ্য ও প্রকৃয়াজাত কৃষিপণ্যের তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত সানুগ্রহ ঘোষণাকে জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়। পাটশিল্পের ব্লক ঋণ ফেরত দেওয়ার সময় ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার বিষয়ে আলোচনা হয়। ইডিএফ ফান্ডের ন্যায় পাটশিল্পের জন্য ২ ভাগ সুদে ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থয়ন তহবিল তৈরি করার বিষয়েও আলোচনা হয় ।

এছাড়াও পাটশিল্পকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ফান্ডিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা, ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমিয়ে একক অঙ্কে আনসহ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের সুদের হার সমতায় আনার বিষয়ে আলোচনা হয় ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় একীভূত করে পুনঃগঠন করা হয়। পরে পাট শিল্পের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এতদসংক্রন্ত পূর্বের সকল আদেশ বাতিল করে গত বছরের ১০ এপ্রিল ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট পাট বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয় ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,  ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জেডিপিসিতে বহুমুখী পাট পণ্যের অত্যধুনিক ডিসপ্লে সেন্টারের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং এর পরই দ্রত দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে অত্যধুনিক ডিসপ্লে সেন্টার স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বর্তমান সরকারের গৃহিত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাট ও বস্ত্রখাতের রফতানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন , পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।’

/এসআই/ এসএনএইচ/